নূর মাজিদ: মার্কিন বৈজ্ঞানিকদের শীর্ষ সংগঠন ন্যাশনাল সায়েন্স একাডেমী তাদের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির বর্তমান হার নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্রমাগত উষ্ণতা বৃদ্ধিতে পৃথিবী একটি জ্বলন্ত চুল্লিতে পরিণত হচ্ছে। এরই প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে বৈশ্বিক আবহাওয়ায়। বিশেষ করে, সাম্প্রতিক সময় এশিয়া থেকে শুরু করে ইউরোপ এবং আমেরিকার বিভিন্ন দেশে অতি বর্ষণজনিত বন্যা, দাবানলে অসংখ্য মানুষের প্রাণহানি এই প্রক্রিয়ার অংশ বলেই তারা মনে করছেন।
প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেন, শিল্প বিপ্লবের পূর্বে বিশ্বের তাপমাত্রা যেমন স্থিতিশীল ছিল তার পরিবর্তনের ফলে পৃথিবী বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়বে। বিশেষ করে, চলমান গতিতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ৪-৫ ডিগ্রী পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। যা রীতিমতো আশঙ্কাজনক। কারণ বিশ্বের আবহাওয়ার উষ্ণতা মাত্র ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস হলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ৬০ মিটার বা ১৯৭ ফিট পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। ফলে পৃথিবীর অধিকাংশ উপকূলীয় অঞ্চলই সাগরে বিলীন হয়ে যাবে এবং মানুষকে স্থলভাগের আরো ভেতরের দিকে তাদের বসতি সরিয়ে নিতে হবে।
তবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এসকল বিপদের আভাষই মিলছে সাম্প্রতিক সময়ে। বিশেষ করে, বিগত কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং এশিয়ায় অনেক মানুষ তীব্র তাপদাহে বা তা থেকে সৃষ্ট দাবানলে দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। বিশেষ করে, সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপে তীব্র তাপদাহ চলছে। ইউরোপ ছাড়াও দূর প্রাচ্যের দেশ জাপান, উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়া এমন তীব্র তাপদাহের শিকার হয়েছে। প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা আরো জানান, ১২ হাজার বছর পূর্বে হলোসেন যুগে সাগরের যে উচ্চতা ছিলো তার পুনঃরাবৃত্তি অচিরেই হতে চলেছে। উল্লেখ্য, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে বরফযুগের অবসানের পরের সময়তাকেই হলোসেন যুগ বলে চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। সিএনএন