সাইদ রিপন: বর্তমান সরকারের মেগা প্রকল্পভুক্ত পদ্মা সেতুর বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুত গতিতে। দেশের বৃহৎ এ সেতুটি নির্মাণ হলে ঢাকার সাথে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক অভূতপূর্ব বিপ্লব ঘটবে। চলমান এ প্রকল্পে কাজের সাথে পাল্লা দিয়েই চলছে নদীর উভয় পারের উন্নয়ন কাজ। এরই ধারাবাহিকতায় পদ্মার বাম তীরের ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করতে নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এজন্য ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার মাঝিরচর থেকে নারিশাবাজার হয়ে মোকসেদপুর পর্যন্ত পদ্মা নদীর ড্রেজিং করে বাম তীর সংরক্ষণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছে, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি ঢাকার দক্ষিণে দোহার উপজেলার পদ্মা নদীর বাম তীরে অবস্থিত। ইতোমধ্যেই পদ্মা নদীর বাম তীরে প্রচ- ভাঙন দেখা দেয়ায় অত্র এলাকার অনেক স্থাপনাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় নদীর বাম তীর সংরক্ষণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তাছাড়া এ প্রকল্পটি গত মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৪৮৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এটি চলতি বছরের অক্টোবর থেকে জুন ২০২২ সালে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)। পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল মঙ্গলবার একনেক মিটিং শেষে সাংবাদিকদের কাছে প্রকল্পটির গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ঢাকার পার্শ্ববর্তী দোহার এলাকাটি পদ্মা সেতুর কাছাকাছি হওয়ায় এ এলাকার উন্নয়ন জরুরি হয়ে পড়েছে। পদ্মাসেতু চালু হলে এ এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হয়ে যাবে। এজন্য আগে থেকেই পদ্মা নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করা হলে প্রায় ২০ বর্গকিলোমিটার নতুন ভূখ- পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে ড্রেজিংয়ে যে অর্থ ব্যয় হবে, তা নতুন ভূখন্ডের মাধ্যমে উঠে আসবে। উদ্ধার হওয়ার পরে এই জমির ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা সম্ভব হবে।
মূলত প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার মাঝিরচর হতে নারিশা বাজার ও মোকসেদপুর এলাকায় অবস্থিত বসতবাড়ি, হাইওয়ে, রাস্তা-ঘাট, মাদ্রাসা-মসজিদ ও ফসলী জমিসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষা ও ভূমি পুনরুদ্ধার করা। প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে- নদী তীর সংরক্ষণ-৬০০ মিটার, এন্ডটার্মিনেশন-৪২২.৫৫, নদী ড্রেজিং-২৪ কিলোমিটার। সম্পাদনা: মোহাম্মদ রকিব হোসেন