শাকিল আহমেদ: আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর ২২টি স্থানে বসছে অস্থায়ী পশুর হাট। দুই সিটি করপোরেশনে ১৫টি হাটের ইজারা সম্পন্ন হয়েছে মাত্র ১৫ কোটি ৭০ লাখ টাকায়। ১৮ আগস্ট থেকে এ সব হাটে পশু বেচাকেনা শুরু হবে বলে জানান সিটি করপোরেশন।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, এবার কোরবানি উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ১৩টি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ৯টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানো হবে। এছাড়া গাবতলীর স্থায়ী পশুর হাটটিও কোরবানির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। এসব হাটে ১৮ আগস্ট বাস দিয়ে মাঠ সাজানো হবে। ১৯ থেকে ২২ তারিখ অর্থাৎ ঈদের দিন পর্যন্ত পশু বিক্রি করা হবে।
এই বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আব্দুল মালেক বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ঈদের চারদিন আগে এসব হাট বসবে একদিন তারা প্রস্তুতি নেবে বাকি তিন দিন বেচাকেনা করবে। এই নিয়মের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ আমরা কার্যাদেশ দেব ঈদের পাঁচ দিন আগে। যাতে তারা আগে হাট বসিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে।
এখন পর্যন্ত ঢাকা উত্তরে ৮টি হাট ১২ কোটি ২৯ লাখ ৯২ হাজার ৫৬২ টাকায় ইজারা দেয়া হয়েছে এবং ময়নারটেক হাট নিয়ে ১৩ তারিখ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এছাড়া প্রাণহানীর আশংঙ্কায় এবছর আফতাব নগরে হাট না বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ যা গতবার ইজারা দেয়া হয়েছিল ১ কোটি ২০ লাখ টাকায়।
অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণে ১৩টি পশুর হাটের মধ্যে ৭টি হাটের ইজারা সম্পন্ন হয়েছে ৩ কোটি ৩৯ লাখ ২৭ হাজার ১৫০ টাকায়। এছাড়া ব্রাদার্স ইউনিয়ন বালুর মাট, ধুপখোলা, ধনিয়া, আরমানিটোলা, কমলাপুর স্টেডিয়ামের পাশের খালি জায়গা, সাদেক হোসেন খোকা মাঠ। এই ৬টি হাটের সিডিউল বিক্রি হলেও টেন্ডার বক্সে কোন দরপত্র জমা পড়েনি। তাই এই হাটগুলো থেকে খাস আদায়ের সিদ্ধান্ত চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে ডিএসসিসি। এই ৬টি হাটে ইজারা না হওয়ায় পেছনে সিন্ডিকেট রয়েছে বলে মনে করছে ইজারাদাররা। তাই এই হাটগুলো থেকে শত কোটি টাকার রাজস্ব হারাবে ডিএসসিসি।
একাধিক ইজারাদার অভিযোগ করে বলেন, হাট ইজারা দেয়ার ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩টি দরপত্র জমা পড়তে হয়। সাধারণ ইজারাদাররা দরপত্রই কিনতে পারেননি। দু-একজন কিনলেও ভয়ে জমা দিতে পারেননি। ফলে প্রভাবশালীচক্র পছন্দমতো দর দিয়ে হাটগুলো ইজারা নিয়েছে। আবার কয়েকটি হাটের ক্ষেত্রে কোনো দরপত্রই জমা পড়েনি। সেগুলো অতীতের মতো দলীয় লোকদের দিয়ে পরিচালনা করা হতে পারে। সম্পাদনা: আনিস রহমান