স্পোর্টস ডেস্ক: দেশে ফিরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন রোডস। টেস্টে হারের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আনন্দ ছিল তার চোখেমুখে। বিমানবন্দরে নেমে তিনি সাংবাদিকদের কাছে তার অনুভূতির কথা জানালেন এভাবে, ‘আমাদের জন্য খুব সহজ ছিল না টেস্ট সিরিজ। টেস্টের পারফরম্যান্সে আমরা যথেষ্ট আঘাত পেয়েছি। কিন্তু আমি ছেলেদের নিয়ে গর্বিত। কারণ আমরা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি।’
ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে বললেন রোডস, ‘ওয়ানডে সিরিজ জয়ের প্রত্যাশা আমাদের ছিল। প্রত্যাশা মতোই আমরা সিরিজটা জিততে পেরেছি। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে। আমরা আসলেই দারুণ ক্রিকেট খেলেছি শেষ দুটি ম্যাচে (টি-টোয়েন্টি)। আমি ভীষণ খুশি দুটি সিরিজ জিততে পেরে।’
এই সাফল্য এশিয়া কাপে বাংলাদেশকে আরও ভালো খেলতে উজ্জীবিত করবে মনে করেন কোচ, ‘ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস যোগাবে। এখানে জয়ের চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না। এর আগেও ওয়ানডেতে আমরা ভালো খেলেছি। সুতরাং আমরা ইতিবাচক মনোভাব নিয়েই এশিয়া কাপে যাবো।’ শেষ টি-টোয়েন্টিতে লিটন দাস ৩২ বলে ৬১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন। তার এমন ম্যাচসেরা ইনিংস নিয়ে রোডস বলেছেন, ‘লিটন ব্যাটিংয়ে খুবই সন্তুষ্ট, সে শেষ ম্যাচে দারুণ খেলেছে। সব সময়ই তার কাছ থেকে এই ধরনের ব্যাটিং আশা করি।’
টেস্টে বাজে পারফরম্যান্সের কারণ ব্যাখ্যা করলেন রোডস। তার মতে কয়েক জন পেস বোলারের ঘাটতি প্রভাব ফেলছে লম্বা ফরম্যাটের ক্রিকেটে, ‘টেস্ট ম্যাচের জন্য আমাদের কয়েক জন দ্রুত ও দীর্ঘাদেহী বোলার খুঁজে বের করতে হবে, যারা উইকেটে জোরে আঘাত করে সুবিধা আদায় করে নিতে পারবে। যেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা করে দেখিয়েছে।’
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানরা সফল হলেও টেস্টে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন। এর কারণ হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কন্ডিশনে অনভ্যস্ততার কথা বলেছেন রোডস, ‘টেস্ট ম্যাচে আমাদের উন্নতি করার জায়গা আছে। আমাদের ভালো খেলোয়াড় আছে। কিন্তু কন্ডিশনের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে। প্রতিপক্ষ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে, বিশেষ করে যখন আমাদের খেলা দেশের বাইরে।’