নাম বদলাচ্ছে জাবালে নুর
সুশান্ত সাহা: বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের চাপে দুর্ঘটনাকবলিত জাবালে নুর পরিবহনের দুটি বাসের রুট পারমিট বাতিল করা হয়। দুর্ঘটনার পর থেকে রাস্তায় এ পরিবহনের বাস তেমন একটা দেখা যায়নি, তবে বর্তমানে পরিবহনটি নতুন নামে রাস্তায় নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাবালে নূর পরিবহনের বাসে রং বদলে নিউ ভিশনের রং এবং স্টিকার লাগানো হচ্ছে। জানা যায়, জাবালে নূরের প্রায় ২০০ বাস রয়েছে। অধিকাংশই লক্কড়-ঝক্কড়। দুই ছাত্র হত্যার পর এই পরিবহনের নামে গাড়ি নামাতে ভয় পাচ্ছেন মালিকরা। তিন ড্রাইভার, দুই সহকারী ও এক পরিচালক র্যাব ও পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরে বাসগুলো মিরপুরের বিভিন্ন অলিগলিতে রেখে নাম পরিবহনের কাজ করছে।
মিরপুরের বাসিন্দা রেজা জানান, রাস্তার উপর রাখা বেশ কয়েকটি জাবালে নূর পরিবহনের বাসের রং পাল্টাতে দেখেছেন। দুর্ঘটনার পর থেকে রাস্তা থেকে উধাও। এরপর নতুন করে রং করা মানেই হলো নতুন নামে রাস্তায় নামার প্রাক-প্রস্তুতি।
উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট জাবালে নূর গাড়ির মালিক শাহাদাত হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে পুলিশ আদালতে ১০ দিন রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শাহাদাতকে আদালতে হাজির করে তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম তার জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেন। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন জাবালে নূর গাড়ির মালিক শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, চালক মাসুম বিল্লাহর ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলেও কোম্পানির সভাপতি, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সুপারিশে তিনি চালককে বাসটি চালাতে দেন। শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, তিনি নিজে চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা করে দেখেননি। আগে থেকেই মাসুম বিল্লাহকে চিনতেন বলেও শাহাদাত আদালতকে জানান। জবানবন্দি রেকর্ড করেন শাহাদাতকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন মহানগর আদালত।
গত ২৯ জুলাই রাজধানীতে বিমানবন্দর সড়কে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একদল শিক্ষার্থীর উপর জাবালে নূরের বাসটি উঠে গেলে নিহত হন দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আব্দুল করিম রাজীব। এর পর থেকে টানা ৯দিন ধরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে রাজধানীর সড়কগুলো অচল হয় যায়।