ভারত থেকে বোমারু মিজানকে ফিরিয়ে আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সুজন কৈরী: বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় ভারতে গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশের শীর্ষ জঙ্গি বোমারু মিজানকে শিগগিরই দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গতকাল শুক্রবার সকালে মনিপুরিপাড়ার নিজ বাসায় সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের এক্সট্রাডিশন প্যাক্ট (প্রত্যর্পণ চুক্তি) রয়েছে। আমরা যাকে চাচ্ছি কিংবা তারা যাকে চাচ্ছে, তার কিন্তু আদান-প্রদান হচ্ছে। আমরা সময়মতো তাকেও নিয়ে আসব। আমরা সময় মতো মিজানকে নিয়ে আসবো।
গত ৬ আগস্ট জাহিদুল ইসলাম ওরফে সুমন ওরফে বোমারু মিজান ওরফে মুন্না ওরফে কাওসারকে গ্রেফতার করে ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। তিনি বাংলাদেশের নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) শীর্ষ নেতা। এনআইএ জানিয়েছে, বোমারু মিজান ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান ও ২০১৮ সালের ১৯ জানুয়ারি বিহারের বুদ্ধগয়াতে বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত।
এনআইএ জানায়, নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খন্ড, বিহার রাজ্যে ঘুরে বেড়ান জাহিদুল ওরফে কাওসার। কয়েক দিন আগে বেঙ্গালুরু গিয়ে সেখানে আত্মগোপনের চেষ্টা করেন তিনি। এদিকে জাহিদুল ওরফে কাওসারের খোঁজে ভারতের প্রতিটি রাজ্যের পুলিশের সঙ্গে সমানে যোগাযোগ রেখে চলছিল এনআইএর গোয়েন্দারা। সম্প্রতি জাহিদুল ওরফে কাওসার বেঙ্গালুরুতে আছে বলে জানতে পারে এনআইএ। এর পরই ফাঁদ পেতে তাকে আটক করা হয়। তার হদিস পেতে ১০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছিল এনআইএ।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশালে পুলিশের প্রিজনভ্যানে হামলা চালিয়ে জেএমবির জঙ্গিরা বোমারু মিজানকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। বোমা মেরে ও গুলি করে আরো দুই জঙ্গির সঙ্গে বোমারু মিজানকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বাকি দুই জঙ্গি ছিলেন মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি সালাউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি ও রাকিব ওরফে রাকিবুল হাসান ওরফে হাফেজ মাহমুদ। পরে রাকিবুল হাসান ধরা পড়লে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন তিনি। আর বাকিদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরা ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে সে সময়ই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।