প্রস্তুত গাবতলীর পশুরহাট, অপেক্ষা বিক্রির
শাকিল আহমেদ: ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগেভাগেই প্রস্তুত রাজধানীর গাবতলী কোরবানির পশুর হাট। ব্যাপারীরা এরই মধ্যে গরু নিয়ে আসতে শুরু করেছেন। অপেক্ষা কেবল ক্রেতার। এছাড়া হাটকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সতর্ক ইজারাদাররাও। শুক্রবার থেকে স্থায়ী এই পশুর হাটটি জমে উঠবে বলে আশা করছেন ব্যাপারী ও হাট ব্যবস্থাপকরা। সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা যায়, গাবতলী ছাড়াও এবার কোরবানি উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ১৩টি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ৯টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানো হবে।
বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, গাবতলি ব্রিজের পাশে বিশাল গেট। নিরাপত্তার জন্য গেটের পাশেই রয়েছে র্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্প। প্রবেশ মুখেই ১নং হাসিল ঘরে হাসিল আদায় করছে হাট কর্তৃপক্ষ। পাশেই রয়েছে ছাগল ও ভেড়া বিক্রির স্থান। বেপারিরা ক্রেতার অপেক্ষা করছে। দুই একজনকে দেখা গেছে দামাদামি করতে। তার পরের সারিতে রয়েছে গরু। সেখানেই দুই একজনকে গরু বিক্রি করতে দেখা গেছে।
১নং হাসিল ঘরের ক্যশিয়ার মো. সোলায়মান বলেন, গাবতলির এই পশুর হাটটি স্থায়ী হওয়ায় এখানে সব সময় বেচাঁকেনা হয় কিন্তু কোরবানির বিক্রি এখনো শুরু হয়নি। বাহির থেকে হাটে এখনো তেমন বড় কোন গরু আসেনি। এখন যে গরু রয়েছে তার দাম চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা হবে। তবে বড় গরুর চেয়ে ৬০ থেকে ৭০ হাজার দামের গরুর চাহিদা বেশি। শুক্রবার থেকে পুরোদমে বিক্রি শুরু হবে বলে আশা করছি।
হাট ঘুরে দেখা যায়, কুষ্টিয়া ও পাবনা থেকে গরু নিয়ে আসছে কয়েকজন বেপারি। কুষ্টিয়া থেকে আসা মো. আকমল হোসেন জানান, আজকে (বুধবার) সকালে ৮টি গরু নিয়ে এই হাটে এসেছেন তিনি।
গরু-ছাগলের পাশাপাশি হাটে মহিষও দেখা গেছে। কুষ্টিয়া থেকে ৫৫টি মহিষ নিয়ে এসেছেন ব্যাপারী মো.আব্বাস। তিনি জানান, বর্ডার বন্ধ থাকায় প্রান্তিকে মহিষের মূল্য অনেক বেশি। তিনি প্রতিটি মহিষ স্বাভাবিকের থেকে ১৫ হাজার টাকা বাড়তি দামে কিনেছেন। এক জোড়া মহিষের দাম পড়েছে ২লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া ১শ টাকা করে চার মুঠি ঘাস খাওয়াতে হয়। সে হিসেবে প্রতিদিন একটি মহিষের পিছনে প্রায় ৭শ টাকা খরচ রয়েছে। লাভ করতে হলে সাড়ে ৬ মন ওজনের একটি মহিষ কমপক্ষে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা বিক্রি করতে হবে।
গাবতলী পশুর হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য মো.সানোয়ার হোসেন জানান, পশু আসতে শুরু করলেও এখনো বিক্রি শুরু হয়নি। তবে শুক্রবার থেকে বিক্রি শুরু হতে পাওে বলে আশাবাদি তিনি। হাটের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যাপাওে তিনি জানান, সকল প্রকার দূর্ঘটনা ঠেকাতে তারা প্রস্তত। হাটে র্যাব, পুলিশ, এনএসআইসহ এক হাজার নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক থাকবে। সম্পাদনা: আনিস রহমান