গরুর এক চতুর্থাংশ চাহিদা পূরণ করে মোটাতাজা প্রকল্প
মতিনুজ্জামান মিটু: শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গরুর চাহিদার এক চতুর্থাংশই আসে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত গরু মোটাজাতা প্রকল্প থেকে। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ মিলনায়তনে ‘প্রাণী মোটাতাজাকরণ; অসাধুপন্থা অবলম্বন ও প্রতিকার’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য তুলে ধরে অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঈদে ক্রেতাদের চাহিদার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে দেখতে সুন্দর ও মোটাতাজা বা পুষ্ট গরু। ভালো রং ও পুষ্ট গরুর একটি গরুর দাম ওঠে লাখ টাকার ওপরে। এসব গরুর চাহিদা বাড়ছে। আর এ বিপুল চাহিদাকে সামনে রেখে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে গরু মোটাকাজাকরণ প্রকল্প। স্বল্প সময়ে বেশি লাভের দিক বিবেচনায় নিয়ে অনেক বেকার গরু মোটাতাজাকরণের দিকে ঝুঁকছে। এটিকে অনেকেই পারিবারিক ব্যবসা বা স্থায়ী ব্যবসা হিসেবে নিচ্ছেন। যদিও চাহিদার একটি বড় অংশ, বিশেষ করে গরুর চাহিদা মেটাতে ভারত নির্ভরতা রয়েছে। দেশের গরুর স্বল্পতায় প্রতি বছর ভারত ও মিয়ানমার থেকে প্রায় কয়েক হাজার কোটি টাকা মূল্যের কয়েক লাখ গরু বাংলাদেশে আসে। তবে দেশে পালিত এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত স্বাস্থ্যবান গরুর কদর বাড়ছে। সরকারের নানা উদ্যোগে দেশে বর্তমানে স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ ব্যবহারের পরিমাণ কমেছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর ড. এস. এম. নজরুল ইসলাম, প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের উপ পরিচালক ডা. হালিম, বাংলাদেশ প্রাণি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ড. বিপ্লব, সাভারের সেন্ট্রাল ক্যাটেল ব্রিডিং স্টেশনের মো. শফিকুর রহমান প্রমুখ।