স্পোর্টস ডেস্ক: ফাইনাল, সেমিফাইনাল বা পরের রাউন্ড নয়, এশিয়ান গেমসে প্রথম লক্ষ্যই ছিল শুধু ভালো খেলা। কিন্তু থাইল্যান্ডের বিপক্ষে এক ম্যাচই বদলে দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দলের মানসিকতা। জেমি ডে’র শিষ্যদের লক্ষ্য এখন পরের রাউন্ডে খেলা।
গ্রুপ ‘বি’তে উজবেকিস্তানের কাছে ৩-০ গোলে হেরে শুরু হয়েছিলে বাংলাদেশের এশিয়ান গেমস মিশন। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে পরের ম্যাচে ভাবা হচ্ছিল ব্যবধানটা আরো বাড়তে পারে। তবে ম্যাচে পাশার দানটা পুরোপুরি উল্টে দেয় লাল-সবুজের অনূর্ধ্ব-২৩ দল। মাহবুবুর রহমান সুফিলের গোলে এগিয়ে থাকার পর শেষ ১০ মিনিট আগে গোল না খেলে জয় নিয়েই ফিরতে পারতো বাংলাদেশ। তবে না জিতলেও শেষ পর্যন্ত ড্র করে ১-১ গোলে। পয়েন্ট টেবিলে দুই ম্যাচে ১ পয়েন্টে বাংলাদেশের অবস্থান তিনে। আর দুই ম্যাচেই ড্র করা থাইল্যান্ডের অবস্থান দুইয়ে, তাদের পয়েন্ট ২। শীর্ষে থাকা উজবেকিস্তানের পয়েন্ট ৬। গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে থাইদের বিপক্ষে খেলবে উজবেকরা। আর আগের দুই ম্যাচে হেরে তলানিতে থাকা কাতারের বিপক্ষে খেলা বাংলাদেশের। আজ শেষ ম্যাচে কাতারের বিপক্ষে হওয়ায় আশা আছে বাংলাদেশের। উজবেকিস্তানের বিপক্ষে যদি ৪ গোলের ব্যবধানে হারে থাইল্যান্ড ও কাতারের বিপক্ষে যদি ড্র হয় বাংলাদেশের তাহলে সমান ২ পয়েন্ট হলেও গোল ব্যবধানে পরের রাউন্ডে চলে যাবেন সুফিল, সাদ উদ্দিনরা। আর জিতলে তো কথাই নেই।
যদি উজবেকিস্তানের বিপক্ষে জিতে যায় থাইল্যান্ড তবও আশা থাকবে বাংলাদেশের। গ্রুপপর্বের সেরা চারটি তৃতীয়ৃস্থান অর্জনকারী দল পাবে পরের রাউন্ডে যাওয়ার টিকিট। সেই সেরা চারে থাকতে হলে কাতারের বিপক্ষে মোটেও হারা চলবে না বাংলাদেশের। উজবেকদের বিপক্ষে ৬ গোল হজম করা কাতারের বিপক্ষে ভালো কিছু করতে হলে এখন শক্তিশালী মানসিকতা ও ইচ্ছাশক্তিটাই আসল লাল-সবুজদের জন্য।