‘কোরবানির ঈদ গ্রামীণ অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে’
আশিক রহমান : কোরবানির ঈদ গ্রামীণ অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জা আজিজুল ইসলাম। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, যারা পশু (গরু, ছাগল বা মহিষ ইত্যাদি) পালন করেন সেটি বিক্রি করে যে লাভ পান তাতে তারা অনেক উপকৃত হন। আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে সেই টাকা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে । দারিদ্র বিমোচনেও সহায়ক হয়।
তিনি আরও বলেন, চামড়া পণ্য উৎপাদনকারীরা ব্যবহার করতে পারেন, এতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হয়। চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি শুধু পশুর চামড়া থেকেই যে আসে তা নয়, অন্যান্য ভাবেও আসে। তবে পশুর চামড়া দিয়ে তৈরি পণ্য রপ্তানি করে যে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হয় আমাদের অর্থনীতির জন্যই ইতিবাচক।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. এ বি মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, কোরবানির ঈদ আর বেশি দূরে নয়। মাত্র দুদিন। এই ঈদকে কেন্দ্র করে বড় রকমের অর্থনৈতিক কর্মকা- বা লেনদেন হয়ে থাকে দেশে। লাখ লাখ পশু কোরবানি হয়। কোরবানির সময়ে পশুর ব্যাপক চাহিদা থাকে। স্থানীয়ভাবে এই চাহিদা মিটানোর আয়োজনও থাকে। গো সম্পদে অনেকেই বিনিয়োগ করেছেন। আশা করা যায় যে, বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবেন।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক দিক থেকে পশুর চামড়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ দেশের অর্থনীতির জন্য। যারা কোরবানি দিবেন পশুর চামড়ার বিক্রিলব্ধ অর্থ দান করতে পারবেন গরিব অসহায়দের মধ্যে। এতে হতদরিদ্র মানুষেরা উপকৃত হবে। এছাড়া চামড়াজাত পণ্য তো আমাদের রপ্তানি আয়ে বেশ ভালো ভূমিকা রাখে।
তিনি আরও বলেন, অনেক হতদরিদ্র গরিব মানুষ পরিবার রয়েছে যারা প্রয়োজনীয় আমিষ গ্রহণ করতে পারে না বা বঞ্চিত থাকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী না হওয়ার কারণে। কোরবানির গোশতের যে অংশটা দরিদ্র্যদের মধ্যে বিতরণ করা হয় তাতে তাদের আমিষের চাহিদা কিছুটা অথবা কয়েকদিনের জন্য হলেও মিটে।