মতিনুজ্জামান মিটু : দেশে উট ও দুম্বাসহ অন্যান্য পশু কোরবানি দেয়ার আগ্রহ বেড়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবারের ঈদ উল আযহায় ৩২ হাজার উট, দুম্বা, গাড়ল, গয়াল, ভূটানি গরু ও বয়েরগোটসহ অন্যান্য পশু কোরবানি দেয়া হতে পারে। গত বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালের ঈদ উল আযহায় ১১০৭টি উট, দুম্বা, গাড়লসহ অন্যান্য পশু কোরবানি দেয়া হয়। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক বলেন, আর্থিক স্বচ্ছলতার কারণে দেশের মানুষের মধ্যে উট ও দুম্বাসহ অন্যান্য পশু কোরবানি দেয়ার আগ্রহ বেড়েছে। বিদেশ থেকে আমদানি হলেও আমাদের এখানেও উট, দুম্বা ও গাড়লসহ অন্যান্য পশু পালন এবং উৎপাদন করা হচ্ছে। বর্তমানে ঢাকার কমলাপুর, মোহম্মদপুরের ভেড়ি বাঁধ ও যশোরের তিনটি খামারে উট এবং দুম্বা পালন ও উৎপাদন হচ্ছে। এছাড়া নরসিংদিতেও পালন করা হচ্ছে দুম্বা। এখানে গাড়ল পালন ও উৎপাদনের সংখ্যাও বেড়েছে। এবার এসব পশুর ঠিক কত সংখ্যক কোরবানী দেয়া হবে তার প্রকৃত হিসেব কোরবানীর পরেই জানা যাবে। তবে এবারের ঈদ উল আযহায় শতাধিক উট, ৮০০ থেকে ৯০০ দুম্বা, ২৫০০০ থেকে ২৬০০০ গাড়ল (ভেড়া জাতীয়), ১৪০০ থেকে ১৫০০ গয়াল (পাহাড়ি ছাগল), ৪০০ থেকে ৫০০ ভূটানি গরু ও ৩৫০০ থেকে ৪০০০ বয়েরগোট কোরবানী দেয়া হতে পারে। একটি উট ৪ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা এবং দুম্বা গড়ে প্রতিটি ৫০,০০০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে।
পৃথক পৃথকভাবে উট ও দুম্বা কোরবানীর সংখ্যা বাড়ার কারণ জানতে চাইলে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক ও সহকারি পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ডা. এ, কে. এম. আতাউর রহমান অভিন্ন কথায় বলেন; বাড়তি ফায়দা বা ধর্মীয় কোনো কারণে নয়, আর্থিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেই উট ও দুম্বাসহ ওইসব জাতের পশু কোরবানী দেয়ার প্রতি দেশের মানুষের আগ্রহ বেড়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সহাকরি পরিচালক(খামার) ড. এ বি এম খালেদুজ্জামান এর বরাতে অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের উপ পরিচালক ডা. আবদুল হালিম বলেন, এবারের ঈদ উল আযহায় উট, দুম্বা ও গাড়লসহ ৩১ হাজার ৯২৩টি অন্যান্য পশু কোরবানী হতে পারে। এসব পশু বিদেশ থেকে আমদানী ও ব্যাক্তি পর্যায়ের খামারে উৎপাদন করা হয়েছে। গতবারের ঈদ উল আযহায় ১১০৭টি অন্যান্য পশু কোরবানী দেয়া হয়েছিল।