উম্মুল ওয়ারা সুইটি: জ্বালানিখাত ও আঞ্চলিক যোগাযোগসহ বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সহায়তা বাড়াতে বাংলাদেশ-নেপাল সম্মত হয়েছেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। চতুর্থ বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দিতে কাঠমান্ডু সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির বৈঠকে এই সম্মতি এসেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম। তথ্যসূত্র: বাসস
সূত্রমতে, গতকাল অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি ও এই ইস্যুতে একটি সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। হোটেল সোয়ালতে ক্রাউন প্লাজায় দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শেষে প্রেস সচিব সাংবাদিকদের বলেন, তারা দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে জোর দেওয়া ছাড়াও তারা জ্বালানি খাতের উন্নয়নে সহায়তা বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন।
ইহসানুল করিম বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রী নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি এবং এই ইস্যুতে একটি সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরের বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেপালের সমর্থন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং জানান নেপালের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে গভীরভাবে মূল্যায়ন করে ঢাকা। উভয় দেশের জন্য দুই প্রতিবেশীর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, এই অঞ্চল থেকে দারিদ্র্য দূর করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আমরা শুধু আমাদের দেশের উন্নতি চাই না, আমরা চাই আমাদের প্রতিবেশীরাও উন্নত হোক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেপালকে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর ও সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দেন। এছাড়া কাঠমান্ডুর সঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা বিনিময়েরও প্রস্তাব দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিভিন্ন খাতে দুই দেশের সহায়তার সুযোগ বাড়ানো উচিত। অলির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দেওয়ায় নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী। ওই সময় শেখ হাসিনা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আরও যোগাযোগ বাড়ানো উচিত বলে মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব নজিবুর রহমান, পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক ও নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসফি বিনতে শামস দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের সময়ে উপস্থিত ছিলেন। পরে ভুটানের অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা দাসো তাসেরিং ওয়াংচুকের সঙ্গেও একই স্থানে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন দুই নেতা।