আশিক রহমান : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহারের জন্যে ইভিএম (ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন) কেনা ও ব্যবহারের প্রস্তাব ও প্রয়াস উদ্ভট বলে মনে করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে এখনো ঐক্যমত সৃষ্টি হয়নি। ৯৯ শতাংশ ভোটার ইভিএম-এর ব্যবহার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। ইভিএম ব্যবহার করতে হলে মানুষের আস্থা আছে কিনা তা যাচাই করে দেখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এমনিতেই নির্বাচন কমিশনের উপর মানুষের আস্থা নেই। ইভিএম-এর উপর মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস আনতে হলে তার ব্যবহার বিধি সম্পর্কে মানুষকে আগে জানাতে এবং শেখাতে হবে। কারণ জাতীয় নির্বাচনের আর মাত্র তিন-চার মাস বাকি। এই স্বল্প সময়ের মধ্যে ইভিএম কেনা ও ব্যবহারের সিদ্ধান্ত উদ্ভট বলেই মনে করি আমি।
এক প্রশ্নের জবাবে এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, ইভিএম ব্যবহারের জন্য মানসিক প্রস্তুতি দরকার। প্রয়োজন সব রাজনৈতিক দলের ঐক্যমত। ইভিএম জিনিসটা কি, কেন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন পদ্ধতি (ইভিএম) ভালো তা মানুষের মধ্যে বিশ্বাস আগে জন্মাতে হবে। এসব না করে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার সঠিক সিদ্ধান্ত হবে বলে মনে হয় না। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের আরপিও সংশোধনের তোরজোরে মানুষের মনে নানা প্রশ্ন জেগেছে। কেন নির্বাচন কমিশন ইভিএম ব্যবহার করার জন্য এত তাড়াহুড়ো করছে, কেন এলসি খোলা হয়ে গেল? এমন প্রশ্ন এখন মানুষের মধ্যে। এই প্রস্তাব এখনো অনুমোদন হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ইভিএম ব্যবহারের পেছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে কিনা বলতে পারব না। প্রশ্ন হচ্ছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য যদি না থাকবে তাহলে ইভিএম ব্যবহারে এত তাড়াহুড়ো করবে কেন ইসি? প্রতিবেশী দেশ ভারতে যেখানে ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কংগ্রেসসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল তা ব্যবহারের বিরোধিতা করছে। কিন্তু আমাদের এখানে ব্যবহারের তোরজোর। বিষয়টা কি দাঁড়াল? ক্ষমতাসীনদের ছাড়া তো অন্য কোনো রাজনৈতিক দল ইভিএম ব্যবহারে রাজি নয় এখানে।