‘বিমসটেকের মতো সামিটে রাজনৈতিক ইস্যু ফরমাল এজেন্ডায় রাখা যায় না’
আশিক রহমান : বিমসটেকের মতো সামিটে রাজনৈতিক (রোহিঙ্গা ইস্যু) ফরমাল এজেন্ডায় রাখা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বিমসটেক সম্মেলন শুরুর আগে আমাদের অনেকেই দেখার অপেক্ষায় ছিলেন, রোহিঙ্গা নিয়ে কোনো আলাপ-আলোচনা হয় কিনা। যেহেতু সামিটের চার্টারে ছিল না রোহিঙ্গা ইসু, এছাড়া এ ধরনের সম্মেলনে রাজনৈতিক কোনো ইস্যু ফরমাল এজেন্ডায় রাখা যায় না, ফলে আমরাও রোহিঙ্গা ইস্যু আনতে পারিনি। সার্ক ও আসিয়ানে সম্মেলনেও রাজনৈতিক ইস্যু এজেন্ডায় রাখা যায় না। কারণ এটা একটা রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ইস্যু। যেহেতু মিয়ানমার বিমসটেকের সদস্য ফলে এটা সামনে আনা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক ইস্যুর কারণে যেহেতু রোহিঙ্গা ইস্যু বিমসটেকে সামনে আনা যায়নি, তার মানে সেখানে রোহিঙ্গা কোনো কাজ হয় নি বলা যাবে না। কারণ কাঠমান্ডুতে হোটেল সোয়ালটি ক্রাউন প্লাজায় বিমসটেক লিডারস রিট্রিট সেশনে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাইডলাইনে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। রোহিঙ্গা সংকট তারা কথাও বলেছেন। এর বাইরেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে অনেক কাজ হয়েছে। অনেকের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন। আমরা ধারণা, অদূর ভবিষ্যতে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে এসব আলাপ-আলোচনা গরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ওয়ালিউর রহমান বলেন, বিমসটেকে রোহিঙ্গা ইস্যু হাইলাইট করতে পারা না পারা নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলেছেন তারা বিষয়টি জানেন না। জানলে এমন প্রশ্ন তুলতেন না। আমরা সরকারের সমালোচনা করব, কিন্তু যা-তা বলা তো ঠিক নয়। গঠনমূলক ও জেনেশোনে সমালোচনা করলে সেটি অনেক বেশি কার্যকর হয়। কিন্তু আমরা এমন সব কথাবার্তা বলি, যার কোনো অর্থই হয় না। তিনি বলেন, বিমসটেক সামিট অনেকদিন পর অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাকসেস ফুল একটা মিটিং হয়েছে সেখানে। বিমসটেকের সাতটি সদস্যদের দেশের মধ্যে ভারত সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। সেখানে ভারতের ভূমিকা অত্যন্ত পজেটিভ ছিল।