আসিফুজ্জামান পৃথিল: মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ভীষণভাবে মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলো। অধিকাংশ রোহিঙ্গা শিশুই কোদিন পারম্পরিক শিক্ষা পায়নি। কোনদিন বিদ্যালয়ের মুখ না দেখা এই শিশুদের এখন শিক্ষাদানের চেষ্টা করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আল জাজিরার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য।
এই ব্যাপারে সেভ দ্য চিলড্রেন্স এর ড্যাফনি কুক আল জাজিরাকে বলেন, ‘এই শিশুরা কখনই প্রাথমিক শিক্ষা পায়নি। তারা জানেনা কিভাবে নিরাপদে রাস্তা পার হতে হয়। কিংবা কিভাবে হাত ধুতে হয়। তাদের অক্ষরজ্ঞাণের পাশাপাশি এসবও শেখাতে হচ্ছে।’ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ৬০ শতাংশই অশিক্ষিত। রোহিঙ্গা শিশুরা স্কুলে যাবার সময় সেনাবাহিনী তাদের নিয়মিত বাঁধা দিত। রোহিঙ্গা কিশোর জিয়াবুল মিয়ানমারের একটি স্কুলে ৭ম শ্রেণীতে পড়তো। সে এই বিষয়ে আল জাজিরাকে বলে, ‘আমরা স্কুলে যাবার সময়ে সেনাবাহিনী আমাদের বাঁধা দিত। তারা আমাদের বলতো তোমরা কোথায় যাচ্ছ? আমরা স্কুলে যাবার কথা বললে তারা বলতো তোমরা স্কুলে গিয়ে কি করবে। যাও বাড়িতে যাও।
ইউনিসেফের সায়মন ইনগ্রাম বলেন, ‘গত বছর হঠাৎ করে স্কুলে যাবার উপযোগী ৩ লাখ ৮০ হাজার শিশু সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে চলে এলো। তাদের জন্য শিক্ষার রব্যভস্থা করা যতটা দরকার ততটাই কঠিন।’ বাংলাদেশ সরকার এই অক্টোবরে রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য একটি সাধারণ পাঠক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। অবশ্য একথাটি বলাই যায় এই শিশুরা স্কুলে না গিয়েও এখন শিখছে জীবন কতটা কঠিন হতে পারে। আল জাজিরা