আমার দেশ • প্রথম পাতা • লিড ১
বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০: দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে
ড. শামসুল আলম : স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বিশেষ করে বিগত এক দশকে বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, বিস্তৃত হয়েছে উন্নয়ন সম্ভাবনা। বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১৯৭০ দশকের প্রথম দিকে গড়ে ছিল ৪ শতাংশ তা ২০১৫ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ শতাংশের অধিক। ১৯৭২ সালে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ১০০ মার্কিন ডলারেরও কম, তা ২০১৭ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ১৬১০ মার্কিন ডলারে। দারিদ্র্যের হার ১৯৭০ দশকের প্রথম দিকে ৭৫ শতাংশেরও বেশি ছিল, যা ২০১৭ সালে ২২.৩ শতাংশে নেমে এসেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১৯৭৪ সালের ৭.৩ শতাংশ থেকে ২০১৬ সালে ১.৩ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। দেশের মানুষের গড় আয়ু ১৯৭৪ এর ৫৫ বছর থেকে ২০১৫ সালে ৭১ বছরে উন্নীত হয়েছে। ১৯৭৪ সালে শিশু মৃত্যুহার (পাঁচ বছরের নিচে) প্রতি হাজারে ছিল ২৪০, যা ২০১৬ সালে নেমে এসেছে ৩৫ জনে। একই সময়ে বয়স্ক সাক্ষরতা ২২ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৭১ শতাংশ হয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি বাংলাদেশের এক সময়ের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি ক্রমশ একটি আধুনিক ও সেবামুখি অর্থনীতিতে রুপান্তরিত হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের অর্থনীতি থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের অর্থনীতিতে প্রাথমিকভাবে উন্নীত হয়েছে।
গত এক দশকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে উন্নয়ন কার্যক্রম আরো বেগবান হয়েছে। ফলে উন্নয়ন ধারাবাহিকতার অত্যন্ত শক্তিশালী এ সূচকগুলোর অর্জন বাংলাদেশকে আরও বেশি উন্নত লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য অনুপ্রাণিত করেছে। ফলে, বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে (টঢ়ঢ়বৎ গরফফষব ওহপড়সব ঈড়ঁহঃৎু-টগওঈ) উন্নীত হওয়ার আকাক্সক্ষা পোষণ করছে। সুচিন্তিত ও কার্যকর উন্নয়ন নীতি এবং শ্রমের ব্যাপক সরবরাহ, উর্বর জমি এবং প্রচুর পানি ও মৌসুমী বৃষ্টিপাত ছিল অতীত অর্জনের ভিত্তি। বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীপ হিসেবে বাংলাদেশ বিপুল ও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার দেশ হলেও দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও নীতিনির্ধারকগণ উন্নয়ন পরিকল্পনায় এটিকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগিয়েছেন। তারপরও, এ ব-দ্বীপের গঠনগত বৈশিষ্ট্য এবং জনসংখ্যার আধিক্য উন্নয়নের পথে চ্যালেঞ্জ হিসেবে উপনীত হয়েছে। নদীসহ ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের প্রায় ১৬ কোটি মানুষের এ দেশে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১২শত লোক বসবাস করে, যা বাংলাদেশকে পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে। ব-দ্বীপের গঠন, নদীর গতিপথ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে ৫ম স্থানে রয়েছে। জলোচ্ছ্বাস, লবণাক্ততা, বন্যা, নদী-ভাঙ্গন, ভূমিকম্প ও ঘূর্ণিঝড় দেশের নিয়মিত চিত্র, যা খাদ্য নিরাপত্তা ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে চ্যালেঞ্জ হিসেবে পরিলক্ষিত হয়েছে। ব-দ্বীপ সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সামগ্রিক সমস্যার একটি অংশ মাত্র। ক্রমবর্ধমান নগরায়ন, চাষযোগ্য জমির পরিমান ক্রমাগতভাবে হ্রাস পাওয়া, অবকাঠামোর স্বল্পতা, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং দক্ষ শ্রমিকের অভাবসহ অন্যান্য অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে এ দেশকে। সীমিত সম্পদ এবং সীমাবদ্ধ সরকারি খাতের সাথে অন্যান্য চ্যালেঞ্জগুলোর সংযোগ নিম্ন মধ্যম আয়ের বাংলাদেশের নীতি ও প্রাতিষ্ঠানিক সীমাবদ্ধতার পরিচয় বহন করে। অতীতের উন্নয়ন পরিক্রমা হতে প্রতীয়মান হয় যে, দৃঢ় সংকল্প ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে এ চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলা করার সামর্থ্য বাংলাদেশের রয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকির কারণে কাক্সিক্ষত উন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ নামে একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন এবং পানি, জলবায়ু, পরিবেশ ও ভূমির টেকসই ব্যবস্থার দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলাসহ ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য দূরীকরণসহ ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ দেশের মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্যে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ বাংলাদেশের স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনাসমূহের সমন্বয় করবে। ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ প্রাথমিকভাবে ২০৫০ পর্যন্ত মধ্যমেয়াদি ডেল্টা এজেন্ডা ঘিরে প্রণীত হলেও, ২০৫০ পরবর্তী দীর্ঘমেয়াদি এজেন্ডার বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রয়োজন। এ প্রেক্ষিতে, এটি একুশ শতকের শেষ নাগাদ বাংলাদেশ ব-দ্বীপ বিবর্তনের (বাড়ষঁঃরড়হ) জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি রুপকল্প নির্ধারণ করলেও, তা অর্জনের জন্য স্বল্প ও মধ্যমেয়াদে অভীষ্ট (এড়ধষ) স্থির করা প্রয়োজন। এ সকল অভীষ্ট, সহায়ক কৌশল, নীতি, প্রতিষ্ঠান এবং বিনিয়োগ একদিকে যেমন সময়ের সাথে পরিবর্তনশীল তেমনি অন্যদিকে দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য অর্জনের পথে এগিয়ে চলা ও ঘটনা প্রবাহের সাথে সঠিকভাবে সাড়া দানের ক্ষেত্রেও পরিবর্তিত হয়। এ প্রেক্ষাপটে, নেদারল্যান্ডসের ডেল্টা ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতার আলোকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত উত্তম চর্চা (ইবংঃ চৎধপঃরপব) অনুসরণে বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ প্রণয়নে নেদারল্যান্ড সরকারের সার্বিক সহায়তা গ্রহণ করা হয়েছে। নেদারল্যান্ডস্্ ও স্থানীয় পরামর্শকগণের সহযোগিতায় বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ প্রণয়ন করেছে।
১৯৬০ সাল থেকে শুরু করে এ যাবত বাংলাদেশে পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও কৃষি উন্নয়নে বেশ কিছু উদ্যোগ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। অধিকন্তু সরকার জাতীয় পর্যায়ে কৌশলগত পরিকল্পনা, যেমন পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। ১৬৯টি লক্ষ্যমাত্রার ১৭টি টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (ঝউএং) নামে বিশ্বব্যাপী সম্প্রতি গৃহীত নতুন এজেন্ডা অর্জনে বাংলাদেশ সরকার দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ। জলবায়ু পরিবর্তন এবং ভবিষ্যতের প্রয়োজন বিবেচনায় ফলপ্রসূ বাস্তবায়নকে গুরুত্ব দিয়ে এ সকল খাতভিত্তিক, জাতীয় ও বৈশ্বিক লক্ষ্য এবং পরিকল্পনাসমূহকে দীর্ঘমেয়াদি সংহত কৌশলের সাথে সমন্বয় করাই হচ্ছে এখন দেশের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ।
সাধারণত খাতভিত্তিক পরিকল্পনা তুলনামূলকভাবে স্বল্পমেয়াদি এবং তা কেবল সংশ্লিষ্ট প্রণয়নকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগ/ সংস্থাসমূহ অনুসরণ করে থাকে। তবে জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংক্রান্ত ঝুঁকি অর্থনীতির বিভিন্ন খাতসহ জাতীয় পর্যায়ের অভীষ্ট এবং লক্ষ্য অর্জনে প্রধান বাঁধা ও অনিশ্চয়তা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এ অনিশ্চয়তা মোকাবেলায় একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং বহু-খাতভিত্তিক সমন্বিত নীতিমালার প্রয়োজন। উদারণস্বরূপ, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা এবং কৃষি জমি হ্রাসের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখার জাতীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কৃষি, পরিবেশ ও বন, ভূমি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, পানি সম্পদ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়, নৌ-পরিবহন, খাদ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রভৃতি মন্ত্রণালয়ের নীতিগত পদক্ষেপের মধ্যে সমন্বয় সাধন অপরিহার্য। একইভাবে, জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং দুর্যোগ পরবর্তী বাসস্থান ও শিল্পে বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা পূরণে বাংলাদেশের সকল সরকারি মন্ত্রণালয় ও সংস্থার অংশগ্রহণে দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য স্থির করে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ফলে সৃষ্ট অনিশ্চয়তার কারণে বিশ্বের সকল ব-দ্বীপ অঞ্চলে অভিযোজনভিত্তিক কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে গতানুগতিক কৌশল গ্রহণের পরিবর্তে জ্ঞানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মাধ্যমে শক্তিশালী অথচ নমনীয় কৌশল এবং পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন, যা নীতি নির্ধারক এবং অংশীজনকে প্রত্যাশিত এবং উপযুক্ত বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে। আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার আলোকে ভবিষ্যতের সম্ভাব্য পরিবর্তন কিংবা সময়ের সাথে সাথে নতুন তথ্য বা নীতিগত অগ্রাধিকারের পরিবর্তনসমূহকে বিবেচনায় রেখে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ প্রণয়ন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র স্বল্পমেয়াদি ‘ট্রায়াল এন্ড এরর’ কার্যক্রমের ওপর গুরুত্ব দেয়ার পরিবর্তে স্বল্পমেয়াদি ‘নো রিগ্রেট’ বা ‘কোন অনুশোচনা নয়’ কৌশলকে প্রাধান্য দিয়ে দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে ব-দ্বীপ ব্যবস্থাপনাকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব-দ্বীপের বিভিন্ন সংজ্ঞা হতে পারে। এ মহাপরিকল্পনায় ব-দ্বীপের সবচেয়ে যথাযথ সংজ্ঞা অনুসরণ করা হয়েছে, যাতে মূলত বাংলাদেশের প্রায় সকল জেলা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ সকল জেলা সমুদ্র উপকূল বা মোহনা, বড় বড় নদীসংলগ্ন বা খরাপ্রবণ এলাকা হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে আবহাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিভিন্ন ঝুঁকি মোকাবেলা করতে হচ্ছে। তবে ছয়টি জেলা (গাজীপুর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, ময়মনসিংহ, নীলফামারী এবং শেরপুর) সমুদ্র ও প্রবাহমান নদীগুলো থেকে অবস্থানগত দূরত্বের কারণে তুলনামূলকভাবে জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিমুক্ত এবং তেমন কোন অস্বাভাবিক পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে না। ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ মূলত: একটি অভিযোজনভিত্তিক কারিগরি এবং অর্থনৈতিক মহাপরিকল্পনা, যা উন্নয়ন ফলাফলের ওপর পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, ভূমি ব্যবহার, প্রতিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং এদের পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াকে বিবেচনা করে প্রণয়ন করা হয়েছে। তাই, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০তে অঞ্চলভিত্তিক পরিকল্পনা প্রণয়নের সে অঞ্চলের পানি বিজ্ঞান ও এর ব্যবস্থাপনা (ঐুফৎড়ষড়মু) প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। দেশের আটটি হাইড্রোলজিক্যাল অঞ্চলকে ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করে প্রতিটি অঞ্চলের প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকির মাত্রার ওপর গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। এর ফলে একই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকির সম্মুখীন জেলাসমূহকে একেকটি গ্রুপের আওতায় আনা হয়েছে, যাতে “হটস্পট” (পানি ও জলবায়ু উদ্ভুত প্রায় অভিন্ন সমস্যাবহুল অঞ্চল) হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
পরিচিতি: ড. শামসুল আলম, সদস্য(সিনিয়র সচিব), সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ, বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন