স্বপ্না চক্রবর্তী : আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়ন হবে বলে মন্তব্য করেছেন নূন্যতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুল ইসলাম। তবে নি¤œতম মজুরি কতো হচ্ছে এখনও তা নির্ধারিত হয়নি বলে জানান তিনি। গতকাল সোমবার রাজধানীর তোপখানা রোডের নি¤œতম মজুরি বোর্ড কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নূন্যতম মজুরি বোর্ডের চতুর্থ বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান পোশাক শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে বোর্ডের কাছে দেয়া প্রস্তাব থেকে কিছুটা ছাড় দিয়ে মালিক ও শ্রমিক উভয় পক্ষকে ভারসাম্যে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ১৭অক্টোবরে বোর্ড থেকে সরকারের কাছে ন্যূনতম মজুরির চূড়ান্তা প্রস্তাবনা সরকারের কাছে প্রস্তাব করা হবে।
মজুরি বোর্ডের অন্যতম সদস্য মালিকপক্ষের প্রতিনিধি বিজিএমইএর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আজকের আলোচনায় কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারি নি বিধায়, আবার আরেকটি মিটিং দেয়া হয়েছে। সেই মিটিংয়েই যে সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে সেটাও আমরা বলতে পারছি না। আমরা চেষ্টা করছি সবাই মিলে এমন একটা জায়গায় আসার যাতে শিল্পের সক্ষমতা এবং শ্রমিকের প্রয়োজনীয়তা রক্ষা পায়। সেই চেষ্টাটাই আমরা করে যাচ্ছি। আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলেই নতুন মজুরি কত হবে তা আমরা আপনাদের জানাতে পারবো।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী-ই নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন হবে। আর নতুন মজুরি কাঠামো ডিসেম্বরেই বাস্তবায়ন হবে।
এর আগে, গত ১৬ জুলাই তৃতীয় বৈঠকে মালিক ও শ্রমিক পক্ষ তাদের প্রস্তাবনা জমা দেয়। ওই বৈঠকে শ্রমিক পক্ষ সর্বনি¤œ মজুরি ১২ হাজার ২০ টাকা করার দাবি করে। বিদ্যমান মজুরি ১২৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় তারা। তবে মালিক পক্ষ ৬ হাজার ৩৬০ টাকার প্রস্তাব দেয়। মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বিভিন্ন গ্রেডে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ মজুরি বাড়াতে চাওয়ার কথা জানান।
এদিকে, মজুরি বোর্ডের বৈঠক চলার সময়ে নিম্নতম মজুরি বোর্ড কার্যালয়ের নিচে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র ও গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে তারা বিক্ষোভ করে।