ফাতেমা আহমেদ: ঈদ পরবর্তী বাজারে কমেছে পেঁয়াজ, রসুন, মুরগির মাংস ও সবজির দাম। তবে, আদা ও মসলা জাতীয় পণ্যের দাম এখনও বাড়তির দিকে। উপচে পড়া ভিড় রয়েছে মসলার দোকানগুলোতে। এছাড়া চালের দাম রয়েছে স্থিতিশীল।
অন্যদিকে, মাছ-মাংসের বাজারের মধ্যে ক্রেতাদের চোখ এখন ইলিশের দিকে। মৌসুম শুরুর প্রথম দিকে নগরীর অলি-গলিতে ইলিশ ছড়িয়ে না পড়লেও দাম রয়েছে হাতের নাগালেই। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে হাজার টাকায়। পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম রয়েছে কমতির দিকে। ঈদের আগে ৫২ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ৪৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২১ টাকা কেজিতে। পাইকারি বাজারে কমেছে রসুনের দামও। তবে, দাম বেড়েছে আদার। কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে এখন পেঁয়াজের দাম নিচের দিকে। ঈদের পর থেকেই বাজারে পেঁয়াজের দাম কম রয়েছে।’ আরেক বিক্রেতা খলিল বলেন, ‘আমদানি কিছুটা বেশি থাকায় ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমছে। ফলে দেশি পেঁয়াজের দামও কিছুটা কমতির দিকে।’
পাইকারি বাজারে দাম কমলেও প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে। দাম রয়েছে আগের মতোই।
বাজারে সবজির দামও রয়েছে কমতির দিকে। ২০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে সব ধরনের সবজি। ঢেরস কেজিতে ৩০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, কাঁকরোল ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, শশা ৪০ টাকা, টমোটো ৭০ টাকা ও পটল ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে অন্য সময়ের চেয়ে মাছের বাজারে এখন ক্রেতা বেশি। তবে সবার চোখ এখন ইলিশের দিকে। অলিতে গলিতে ‘ইলিশ, পদ্মার ইলিশ’ এমন হাঁক-ডাক শোনা গেলেও বাজারে এখনও ভরা মৌসুমের প্রভাব পড়েনি। বিক্রেতারা বলছেন, আরও এক মাস থাকবে ইলিশের মৌসুম। তবে অন্য বছরের চেয়ে এবার এখনও সরবরাহ কম বলে বিক্রেতাদের দাবি।
কারওয়ান বাজারে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৭০০ টাকা পিস, ৯০০ গ্রামের ৯০০ টাকা পিস, এক কেজি ওজনের ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর এক কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
ইলিশের বাজারে কথা হয় ফার্মগেটের বাসিন্দা সোহেলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মৌসুম শুরু হলেও বাজারে এখনও ইলিশের দাম বেশি। ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১ হাজার টাকা কেজিতে কিনতে হয়েছে। অন্য বছর আরও দাম কম থাকে।’ বিক্রেতারা বলছেন, গত কয়েক দিনের চেয়ে ইলিশের দাম কমেছে। সূত্র: সারাবাংলা