সাফ ফুটবল যুদ্ধ আজ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভুটান
এল আর বাদল: সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (ঝঅঋঋ) ব্যবস্থাপনায় সাফ ফুটবল টুর্নামেন্টের দ্বাদশ আসর এবার ঢাকায়। তবে ঢাকার মাঠে এটি সাফের তৃতীয় আসর। ‘সুজুকি’ নামকরণে এই টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পন্সর হয়েছে উত্তরা মটরস।
৭টি দেশের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে প্রতিদিন দুটি করে খেলা অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনী দিনে আজ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকাল ৪টায় নেপাল ও পাকিস্তান পরস্পরের মোকাবিলা করবে। একই দিনে দ্বিতীয় ম্যাচে সন্ধ্যা ৭টায় স্বাগতিক বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে ভুটান। ৭টি দল হওয়ায় ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হয়েছে তিন দল পাকিস্তান, নেপাল ও ভুটান। অন্যদিকে ‘বি’ গ্রুপে ভারতের প্রতিপক্ষ দুই দল শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ।
গত রোববার ২০ সদস্যের বাংলাদেশ দল চূড়ান্ত করেন ইংলিশ কোচ জেমি ডে। এশিয়ান গেমস ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের পারফরম্যান্স দেখেই দল গড়েছেন তিনি। আর এক্ষেত্রে তারুণ্য ও অভিজ্ঞতা দুই দিকেই নজর দিয়েছেন বলে জানালেন কোচ। তিনি বলেন, এশিয়াডে যারা ভালো করেছে তাদেরকেই স্কোয়াডে রাখা হয়েছে। তাদের সঙ্গে কিছু অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ও নেওয়া হয়েছে, যেন তরুণদের সহায়তা করা যায়। সাফের মতো আসরে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার।
বাংলাদেশে প্রথমবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আসর বসে ২০০৩ সালে। সেবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কৃতিত্ব দেখায় স্বাগতিক বাংলাদেশ। পাকিস্তানে এরপরের আসরে রানার্সআপ হয় বাংলাদেশ। এরপর ধীরে ধীরে এই আসরে নিজেদের পরাশক্তির মর্যাদা হারিয়েছে বাংলাদেশ। আর কোন আসরে পারেনি ফাইনাল খেলতে। কিন্তু এবারের আসর ঘরের মাঠে। তার উপর ক’দিন আগে এশিয়ান গেমসে ফুটবলারদের পারফরম্যান্স স্বপ্নতাড়িত করেছে সবাইকে। যেখানে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় পর্বে খেলে জেমি ডের শিষ্যরা। লাল-সবুজ দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বেশ আশাবাদী ২০০৩ সালের মতো এবারও বাংলাদেশ শিরোপা জিতবে বলে। তবে ভুটান, নেপাল ও পাকিস্তান দলকে শক্ত প্রতিপক্ষ বলে মনে করেন টাইগার অধিনায়ক। বাংলাদেশে সর্বশেষ সাফের আসর বসেছিলো ২০০৯ সালে। ওই আসরে বাংলাদেশ সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয়।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে গত ১১ আসরের মধ্যে ৭ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। বাকি ৪ বারের মধ্যে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা একবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। টুর্নামেন্টের সর্বশেষ তিন আসরে বাংলাদেশ গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে। এবার স্বাগতিক হওয়ার সুবিধা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ভালো কিছু করবে সেটিই সকলের প্রত্যাশা।