আসিফুজ্জামান পৃথিল: বিশ্বে জ্বালানী তেলের বৃহত্তম আমদানীকারক চীনে তেলের চাহিদা ক্রমাগত কমতে থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে আরব দেশগুলো। সোমবার বাহরাইন এবং ওমানের তেলমন্ত্রীরা সিএনবিসিকে একথা জানিয়েছেন। তারা মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চলমান বাণিজ্য বিরোধের ফলে চীনের বহু পণ্যের উপর যুক্তরাষ্ট্র শুল্কারোপ করায় দেশটিতে জ্বালানীর চাহিদা কমে গেছে।
বাহরাইনের তেলমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন খালিফা আল খালিফা বলেন, ‘আমার মনে হয় চাহিদা কমে যাবার বড় রকমের শঙ্কা রয়েছে। বর্তমানের পরিস্থিতি চললে চাহিদা অবশ্যই কমবে। বাণিজ্য শঙ্কা অবশ্যই এই চাহিদা কমার প্রধান নিয়ামক। এছাড়াও ডলারের শক্তিশালী অবস্থান আরো একটি বড় কারণ।’ ওপেক এবং নন-ওপেকভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির কারণে প্রায় ২ বছর তেলের দর স্থিতিশীল ছিলো। এসময়ে বাহরাইন এবং ওমানও তেলের উৎপাদন কমিয়েছিলো। এই চুক্তির কারণেই বর্তমানে তেলের দর ব্যারেলপ্রতি ৭০ থেকে ৮০ ডলারের মধ্যে থাকছে। ট্রম্পের নেয়া নানামুখি সিদ্ধান্ত তেলের বাজারেও প্রভাব ফেলছে। ট্রাম্প একটি গুরুত্বপূর্ণ ওপেক দেশ ইরানের উপর নতুন করে অবরোধ আরোপ করেছেন। ফলশ্রুতিতে দেশটি নিশ্চিতভাবেই তেলের উৎপাদন কমাতে বাধ্য হবে। ফলে বৈশ্বিক তেলের সরবারহও কমে যাবে।
এ বিষয়ে ওমানের তেলমন্ত্রী মোহম্মেদ বিন হামেদ আল রুহমি সিএনবিসিকে বলেন, ‘এই শঙ্কা থাকছেই যে চাহিদা কমে যাবে। মানুষ শুধু যোগানের ব্যাপারটিই দেখছে। ইরান যোগান কমিয়ে দিলে কি হবে তা নিয়েই সকলে শঙ্কিত। কিন্তু চীন চাহিদা কমিয়ে দিলে কি হবে তা কেউ ভাবছেনা। আমরা দুই দিকেই তাকিয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছি। যদি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চীনের বাণিজ্য টানাপোড়েন আরো বৃদ্ধি পায় চীনের তেলের চাহিদা স্বাভাবিকভাবেই কমে যাবে। আর আমাদের রপ্তানীও কমে যাবে। আমি বিশ্বাস করি বহু মানুষ আমার সাথে একমত হবেন। এটা আমাদের জন্য ভালো সংবাদ নয়।’ সিএনবিসি