ইসমাঈল হুসাইন ইমু: নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও নির্যাতনকারী কেউ চিহ্নিত হয়নি। হামলাকারীদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন স্থানে এখনো ভাসছে। এরপরও পুলিশ বলছে তদন্ত চলছে, আটক হবে হামলাকারীরা।
সূত্র বলছে, সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের অধিকাংশই ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে তাদের বেশ কয়েকজনের নাম এসেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ হামলাকারীদের শনাক্ত করতে ইতিমধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে। এ কমিটির প্রধান করা হয় ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবদুল বাতেনকে। কমিটি হামলার ফুটেজ, স্থিরচিত্র ও ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করছে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় এপির ফ্রিল্যান্স ফটোসাংবাদিক এএম আহাদ, প্রথম আলোর ফটোসাংবাদিক আহমেদ দীপ্ত, ইউএনবির ফটোসাংবাদিক পলাশসহ অন্তত পাঁচজন ফটোসাংবাদিকের ওপর হামলা হয়। এ ছাড়া ল্যাবএইড মোড়ে দেশ টিভি, বাংলাভিশনসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের কর্মীদের ওপরও হামলার ঘটনা ঘটে। নাগরিক টিভির একটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিসি (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, আমরা বিভিন্ন উপায়ে হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। তদন্ত অব্যাহত রযেছে। শিগগিরই ধরা পড়বে হামলাকারীরা বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। গত ২৬ আগষ্ট তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছিলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তির ব্যাপারে তিনি যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন, সে ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নেওয়া হয়নি। তবে তদবির অব্যাহত রেখেছেন বলে জানান তিনি।