তরিকুল ইসলাম সুমন: দক্ষিণাঞ্চলগামী ২১ জেলার অন্যতম ফেরি রুট কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নাব্য সংকট সহসাই কাটছে না। এ সমস্যা সমাধানে সরকারি ও বেসরকারি ১০ টি ড্রেজার কাজ করছে। এ রুটকে সচল রাখার জন্য এখন শুধু রুট ব্যবস্থাপনামূলক ড্রেজিং করা হচ্ছে। এতে করে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ হাজার ঘনমিটার পলি অপসারণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী রকিবুল ইসলাম তালুকদার।
তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন এই ফেরিরুট সার্ভে করা হয় সেই অনুযায়ী ড্রেজিং করার ব্যবস্থা করা হয়। ফলে অপরিকল্পিতভাবে কোনো কিছুই করা হচ্ছে না। তবে এখানে ড্রেজিং করে কিছু রাখা যাচ্ছে না। তার অন্যতম কারণ হলো পদ্মার এ চরটি মুভ করছে। ফলে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলাচল করছে। এতে করে মূল চ্যানেলটি সরু হয়ে যাচ্ছে। এ রকমের অবস্থা আরো ১০ দিন চলবে। অর্থাৎ এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে চরটি স্ট্যাবল বা স্থির হলে সরাসরি প্যনেল ড্রেজিং করা হবে। তা না হলে চরের অপর পাশ দিয়ে নতুন চ্যানেল ড্রেজিং করে তা ফেরি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
বিআইডব্লিউটিএর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, পদ্মা অববাহিকার বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙ্গছে। এসব বালু এসে এ চ্যানেলে জমা হচ্ছে। গত বছরও এ ধরণে সমস্যার কারণে ১০ দিন ফেরি রুট বন্ধ রাখা হয়েছিল। নাব্য সংকটের আর একটি কারণ হলো ভারত কর্তৃক ফারাক্কা বাঁধ ছেড়ে দেওয়ায়ও পদ্মায় আসছে প্রচুর বালু। এ বছর বড় মাপের ড্রেজার ব্যবহার করায় (২৬ ইঞ্চি মাপের) রুটটি বন্ধ রাখতে হয়নি।
উল্লেখ্য, সাধারণত এই নৌরুটটিতে ছোট বড় মিলিয়ে ২১টি ফেরি, ৮৭টি লঞ্চ ও দুই শতাধিক স্পিডবোট চলাচল করে।