সুজন কৈরী: এখন থেকে রাজধানীতে কোনো লেগুনা চলবে না বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। গতকাল মঙ্গলবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে মাসব্যাপী ট্রাফিক সচেতনতা প্রোগ্রাম ঘোষণার সময় তিনি একথা জানান। কমিশনার বলেন, লেগুনার জন্য সড়কে বিশৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনা ঘটে। এতদিন যেসব লেগুনা চলছে, তার কোনো রুট পারমিট নেই। তবে বসিলা ও ৩০০ ফিট এলাকাসহ শহরের উপকণ্ঠগুলোতে লেগুনা চলতে পারবে। সেখানে লেগুনা চললে কোনো বাধা দেওয়া হবে না।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, রাজধানীর রাস্তায় শৃঙ্খলা ফেরাতে সেপ্টেম্বর মাসব্যাপী ট্রাফিক আইন প্রয়োগ ও ট্রাফিক সচেতনতামূলক বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রাজধানীর জাহাঙ্গীর গেট থেকে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত চালু হচ্ছে মডেল ট্রাফিক ব্যবস্থা। যেখানে গাড়ি চলবে ট্রাফিক সিগন্যাল বাতির ভিত্তিতে। পর্যায়ক্রমে রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় মডেল ট্রাফিক ব্যবস্থা চালু করা হবে। পুলিশের পাশাপাশি পালাক্রমে ৩২২ জন রোভার স্কাউট কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
কমিশনার বলেন, শৃঙ্খলা আনতে ঢাকা শহরের মধ্যে নিবন্ধন না থাকা রিকশা চলতে দেওয়া হবে না। বাসের চালকদের চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া যাবে না, বেতনভুক্ত করতে হবে। ডিএমপি কমিশনার বলেন, গত দেড় বছরে ট্রাফিক বিশেষ অভিযানে ট্রাফিক সংক্রান্তে মোট মামলা হয়েছে ৬ লাখ ২৫ হাজার ৯৪৫টি, ভিডিও মামলা হয়েছে ৯৮ লাখ ৮৪৩টি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও জায়গায় ৩ হাজার ৬৩৯টি ট্রাফিক সচেতনতামূলক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফুটপাতে মোটর সাইকেল উঠিয়ে দেয়া বন্ধ করতে ডিএমপির অর্থায়নে ফুটপাতে ৪ হাজার ৭৭টি মেটাল পিলার স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ঈদের আগে ১০দিনের বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করায় ৮৮ লাখ ২৯৩টি মামলায় ৫ কোটি ৬৭ লাখ ১৫ হাজার ৩০ টাকা জরিমানা আদায় হয়েছে।
কমিশনার আরও বলেন, ট্রাফিক আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের চাপ বা প্রভাব বিবেচনা করা হবে না। দখল হওয়া ফুটপাত মুক্ত করার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজউক ও সিটি করপোরেশনের সঙ্গে বসে ঢাকার বিভিন্ন দখল হওয়া ফুটপাত উদ্ধার করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, গুজব ছড়িয়ে যারা সামাজিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের বিরুদ্ধে সব ধরনের আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।