লিহান লিমা: নিজের বয়স তো সবারই জানা, তবে হার্টের বয়স জানেন ক’জনা? অবাক হচ্ছেন। হ্যাঁ। ব্রিটেনে এক সমীক্ষায় দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর জীবন-যাপন দেশটির প্রতি ৫ জনের মধ্যে ১ জন বয়স্কের অকাল মৃত্যুর কারণ।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিটেনের লাখো মানুষ হার্ট এটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকিতে রয়েছেন এবং অস্বাস্থ্যকর জীবন-যাপনের কারণে তাদের হার্টের বয়স অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে গেছে। ব্রিটেনের ১৯ লাখ মানুষের ওপর জরিপ চালিয়ে দেখা গিয়েছে, দেশটির ৩০ পার হওয়া ৭৮ ভাগেরই জৈবিক বয়সের তুলনায় তাদের হার্টের বয়স অনেক বেশি। এর মধ্যে ১৪ ভাগের হার্টের বয়স তাদের মূল বয়সের চেয়ে ১০ বছরেরও বেশি। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে জৈবিক বয়সের চেয়ে হার্টের বয়স তুলনামূলকভাবে অনেক বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, ডায়েটে অমনোযোগ, ব্যয়াম স্বল্পতার কারণে মধ্যবয়সেই লাখো মানুষ হৃদরোগের শিকার।
ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী সিমোন গিলিসপি বলেন, ব্রিটেনের লাখো মানুষ পরিবারগত রোগ, উচ্চমাত্রার রক্তচাপ, কোলেস্টরল ও তাদের জীবনযাত্রার কারণে হার্ট এটাক ও স্ট্রোকের উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, দেরি না করে পরীক্ষা করা এবং নিজের হার্টের বয়স নিশ্চিত হওয়া। কোলেস্টোরেল এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আছে কি না তা দেখা জরুরি।
হার্টের অতিরিক্ত বয়সের কারণে ডিমনেশিয়া, হার্ট এটাক, স্ট্রোক, কিডনি রোগ এবং ডায়াবেটিস দেখা যায়। তবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, নিয়মিত ব্যায়াম, অ্যালকোহল ও ধূমপান প্রত্যাহারে তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। ডেইলি মেইল