গ্রিজম্যানের হাতে উঠতে পারে ব্যালন ডি’অর!
স্পোর্টস ডেস্ক: ব্যালন ডি’অর শব্দটি এলেই সামনে আসে রোনালদো ও মেসি’র নাম। কিন্তু রাশিয়া বিশ্বকাপের পরই যেন পাল্টে গেছে ফুটবল রাজত্ব। কয়েকদিন আগে উয়েফার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছেন লুকা মদরিচ। কিছুদিন পরেই ঘোষণা হবে ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের নাম। সেখানে রিয়াল মাদ্রিদের এই মিডফিল্ডারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও মোহাম্মদ সালাহর। কিন্তু ফ্রান্সের আঁতোয়ান গ্রিজম্যানের সাফল্য তালিকাটা বড় হলেও উয়েফা কিংবা ফিফা’র পুরস্কারেই সেরা তিনে আসতে পারেননি আঁতোয়ান গ্রিজমান।
তবে ফ্রান্সের ডিফেন্ডার লুকাস হার্নান্দেজ শুনিয়েছেন আশার বাণী। তার ভাষ্য মতে, ব্যালন ডি’অরে হতাশ হতে হবে না ফ্রেঞ্চ আঁতোয়ানকে। সেরা তিনে জায়গা করেই ক্ষান্ত হবেন না, একেবারে সেরা খেলোয়াড়ই হবেন হার্নান্দেজের ক্লাব ও জাতীয় দলের সতীর্থ। ২০১৮ সালে ক্লাবের হয়ে ২৩ গোল করা ও বিশ্বকাপে ৪ গোল করে তৃতীয় সেরা হওয়া গ্রিজমানকে এ বছরের সেরা বলছেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ডিফেন্ডার। এই তরুণ ফ্রেঞ্চ তারকার দাবি, গ্রিজমানের প্রাপ্য ব্যালন ডি’অর। সেই এটা জেতার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে। এ বছর সে যত প্রতিযোগিতায় খেলেছে সবখানেই দুর্দান্ত ছিল। এটা গ্রিজমানের বছর।
২০১৬ সালে ব্যালনের শীর্ষ তিনে রোনালদো ও মেসির সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছিলেন গ্রিজমান। ২৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড আশা করেন, জিতুন বা না জিতুন এবারও অন্তত সেরা তিনে থাকবেন। লেকিপকে বলেছেন, ‘আমার শীর্ষ তিনে থাকা উচিত। ২০১৬ সালে আমি দুইটি ফাইনাল হেরেছি আর এবার তিনটা জিতেছি। স্বাভাবিকভাবেই…’ স্বাভাবিকভাবে তাঁর শীর্ষ তিনে থাকা উচিত সেটা আরেকবার বলতে চাইলেন না অ্যাটলেটিকো ও ফ্রান্সের প্রাণভোমরা।
ব্যালন ডি’অরের মনোনয়ন প্রাপ্তদের নাম জানতে এখনো দেরি আছে। তবে এত আগেই কেন এ নিয়ে কথা হচ্ছে? গ্রিজমান সম্ভবত ফিফার দ্য বেস্টের সেরা তিনে জায়গা না পেয়ে এখন ব্যালনকেই শেষ আশ্রয় ভাবছেন। হাজার হলে শীর্ষ তিনে বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রেঞ্চ দলের কোনো খেলোয়াড়ের না থাকাটা এখনো বিস্মিত করছে তাকে, ‘এটা খুব অদ্ভুত এবং দুঃখজনক। এটা তো ফিফারই একটি পুরস্কার, তাই না? আমরা বিশ্বকাপ জিতেছি এবং এ তালিকায় কোনো ফ্রেঞ্চ নেই! এটা হয়তো মানুষের পছন্দের ব্যাপার কিন্তু এটা বিস্ময়কর।’