স্পোর্টস ডেস্ক: গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে জুভেন্টাসে যোগ দেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ১০০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ইতালিয়ান সিরিএ লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের জার্সিতে যোগ দেন সিআর সেভেন। এ ছাড়াও ১৭ মিলিয়ন ইউরো অতিরিক্ত যোগ হবে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে।
এর ফলে গেজেত্তা ডেল্লো স্পোর্ট অনুযায়ী, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বার্ষিক আয় ৩১ মিলিয়ন ইউরো, যা ইতালিয়ান সিরিএ লিগে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯.৫ মিলিয়ন আয় করে এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন এসি মিলানের আর্জেন্টাইন তারকা গঞ্জালো হিগুয়েন।
সাবেক রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর আয় এতই বেশি যে, ইতালিয়ান সিরিএ লিগে যে ১০টি ক্লাব রয়েছে, তারা সিআর সেভেনের আয়ের সমপরিমাণ অর্থ ব্যয়ও করতে পারে না! ইতালিয়ান সিরিএ লিগে খেলোয়াড়দের পেছনে বছরে সবচেয়ে কম ব্যয় করে এম্পোলি। তাদের মোট ব্যয় ১৬ মিলিয়ন ইউরো। অর্থাৎ এম্পোলির ব্যয়ের চেয়ে দ্বিগুণ অর্থ উপার্জন করেন জুভেন্টাসের রোনালদো।
এ ছাড়াও ৯টি ক্লাব রয়েছে, যাদের বার্ষিক ব্যয় রোনালদোর উপার্জনের চেয়েও কম।
১। সাসাওলোর বার্ষিক ব্যয় ৩০ মিলিয়ন ইউরো
২। ক্যালিয়ারির বার্ষিক ব্যয় ২৯ মিলিয়ন ইউরো
৩। জেনোয়ার বার্ষিক ব্যয় ২৯ মিলিয়ন ইউরো
৪। আটলান্টার বার্ষিক ব্যয় ২৭ মিলিয়ন ইউরো
৫। উদিনেসের বার্ষিক ব্যয় ২৬ মিলিয়ন ইউরো
৬। পার্মার বার্ষিক ব্যয় ২৩ মিলিয়ন ইউরো
৭। ফ্রোসিনোনের বার্ষিক ব্যয় ২২ মিলিয়ন ইউরো
৮। চিয়েভোর বার্ষিক ব্যয় ২১ মিলিয়ন ইউরো
৯। স্পালের বার্ষিক ব্যয় ২১ মিলিয়ন ইউরো এবং
১০। এম্পোলির বার্ষিক ব্যয় ১৬ মিলিয়ন ইউরো।
ইতালিয়ান সিরিএ লিগে বছরে সর্বোচ্চ ব্যয় করে জুভেন্টাস। এ বছরে খেলোয়াড় কেনার পেছনে তারা ব্যয় করেছে ২১৯ মিলিয়ন ইউরো। তাদের পরে রয়েছে এসি মিলান। মিলানের ব্যয় ১৪০ মিলিয়ন ইউরো। প্রিয়ডটকম