স্পোর্টস ডেস্ক: হিথ স্ট্রিকের সময়ে পেস বোলিংয়ে হয়েছিল বিস্ময়কর উন্নতি। স্ট্রিকের উত্তরসূরি কোর্টনি ওয়ালশের অধীনে সে ধারা অব্যাহত রেখেছেন মাশরাফী, মোস্তাফিজ, রুবেলরা। তবে টেস্টের বোলিং নিয়ে আক্ষেপ রয়েই গেছে। লাল বলে পেস আক্রমণ শক্তিশালী করতে নতুনদের তৈরি করতে চান ক্যারিবীয় কিংবদন্তি। ওয়ালশের সঙ্গে বিসিবির চুক্তি ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তিনি দলে রেখে যেতে চান প্রতিভাবান পেসার। রঙিন পোশাকে দারুণ করলেও সাদা পোশাকে দুর্বলতা দৃশ্যমান লম্বা সময় ধরেই। যে কারণে টেস্ট বোলার তৈরির উপর জোর দিতে চান ওয়ালশ। ‘টেস্টে আমরা ততটা উন্নতি করিনি।
ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টিতে কিছুটা হয়েছে। তবে দলে তরুণ কয়েকজন বোলার উঠে এসেছে। সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্টে আমাদের পারফরম্যান্স এতটাই হতাশাজনক ছিলো যে প্রত্যাশার ধারে কাছেও যেতে পারেনি। তবে আমার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আরও কয়েকজন প্রতিভাবান পেসার পাব বলে আশা করছি।’ ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব নেন ওয়ালশ।
স্ট্রিকের স্থলাভিষিক্ত হয়ে টাইগারদের সঙ্গে দুই বছর পার করেছেন সাবেক এ জ্যামাইকান তারকা। তার সময়ে শিষ্যরা জ্বলে উঠেছেন আবার কখনও নিরাশ করেছেন। সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি সিরিজে দারুণ করলেও টেস্ট সিরিজে পেসাররা ছিলেন বিবর্ণ। কাজে লাগাতে পারেননি কন্ডিশন। ওয়ালশ অবশ্য হাল ছাড়তে নারাজ। তার মতে, সব ঠিকভাবে আগালে সুদিন আসবে।
‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে সবশেষ সফরে যতটা প্রভাব বিস্তার করা উচিত ছিল, আমরা ততটা পারিনি। আশা করি, সামনের সময়গুলোতে দল নির্বাচন থেকে শুরু করে সবকিছু ঠিকঠাক হবে। আমি এখনও আশাবাদী।’
‘বেশ কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটার উঠে আসছে। কিন্তু দলে না নেওয়া হলে তো বোঝা যাবে না তারা কেমন। আমার মনে হয়, এখানটায় আমাদের আরেকটু বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত। আমরা তরুণদের সুযোগ দিতে একটু বেশিই ভয় পাই।’
‘আমরা যদি ওদের শুধু অপেক্ষায় রাখি এবং খেলার সুযোগ না দেই, তাহলে তো লাভ নেই। যত খেলবে ওরা, তত শিখবে। খেললেই অভিজ্ঞতা বাড়বে। ওরা প্রস্তুত নয় বলে যদি সুযোগ না দেওয়া হয়, তাহলে তো ওরা কখনোই প্রস্তুত হবে না,’ যোগ করেন ওয়ালশ।