আব্দুর রাজ্জাক: নেপালকে চীন তাদের চারটি সমুদ্রবন্দর ও তিনটি স্থলবন্দর ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে বলে জানিয়েছে নেপালি সরকার। শুক্রবার দেশদুটির কর্মকর্তারা এ সংক্রান্ত একটি চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত করেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স। চূক্তিটি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর কাঠমান্ডু চীনের তিয়ানজিন, শেনজেন, লিয়ানইয়ুংগাং ও ঝানজিয়াং সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে পারবে।
একইসঙ্গে চীন তাদের লানঝৌ, লাসা ও জিগাৎসে স্থলবন্দর ব্যবহারেরও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে নেপালের বাণিজ্যমন্ত্রী মাতৃকা জাদভ জানান নিশ্চিত করেছেন। চুক্তি কার্যকর হলে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও উত্তর এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে নেপালে আসা কার্গোবাহী জাহাজের সময় ও খরচ দুই-ই বাঁচবে। বেইজিং ও কাঠমান্ডুর মধ্যে এই সমঝোতা নেপালে ভারতের প্রভাব কমবে বলে বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন। স্থলবেষ্টিত নেপালের সঙ্গে অন্য দেশগুলোর বাণিজ্য ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভারত যে একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তারের সুযোগ নিত, চীনা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ তা খর্ব করবে বলেই ধারণা পর্যবেক্ষকদের। নেপাল এতদিন জ্বালানিসহ জরুরি পণ্য সরবরাহ ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারতের বন্দরগুলোর ওপর নির্ভরশীল ছিল। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চীনের সঙ্গে নেপালকে যুক্ত করতে চাইলে সীমান্তের নেপাল অংশের সড়ক ও শুল্ক ব্যবস্থাপনার ঘাটতি মেটাতে হবে। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত নেপাল থেকে চীনের সবচেয়ে কাছের বন্দরের দূরত্বও দুই হাজার ছয়শ কিলোমিটারের বেশি।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নেপালে ভারতের প্রভাব কমাতে দেশটিতে বিনিয়োগ ও সহায়তার পরিমাণ বাড়াচ্ছে বেইজিং; এর মাধ্যমে দিল্লির প্রতি চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দিচ্ছে তারা।