সুসময়ে ও দুঃসমেয় ভারত বাংলাদেশের সাথে থাকবে: শ্রিংলা
প্রশান্ত কুন্ডু, বরিশাল: ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, ‘সুসময়ে ও দুঃসমেয় ভারত বাংলাদেশের সাথে থাকবে। আজ বাংলাদেশ চরমপন্থীদের দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং সাহসী সমাজ হিসেবে সাফল্য অর্জন করেছে। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ মিলনায়তনে ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী সম্পর্কের ভিত বপন করেছিলেন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এই সম্পর্ক আরও নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করতে ভারত সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করেছে যারমধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষা বৃত্তি। এর আওতায় ২০০৬ সাল থেকে এপর্যন্ত সাড়ে ১২ হাজার শিক্ষার্থীকে ২১ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। এছাড়া আরও অনেক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য।
শনিবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া অনুষ্ঠান চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানে তিনটি উদ্যেগের ঘোষণা দিয়েছেন। এগুলো হল, নতুন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান বৃত্তি প্রকল্প, অসুস্থ্য মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতে বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং সকল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য পাঁচ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা।
মুক্তিযোদ্ধা একাডেমী ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. আবুল আজাদের সভাপতিত্বে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ৯নং সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন মাহফুজ আলম বেগ, বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস, পঙ্কজ নাথ এমপি, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
আমাদের পিরোজপুর প্রতিনিধি খেলাফত হোসেন খসরু জানান, ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা গতকাল সকালে স্বরূপকাঠির কুড়িয়ানা কবিগুরু রবীন্দ্র নাথ কলেজে এক সুধিসমাবেশে ওই কলেজে শিক্ষাবৃত্তি চালুর ঘোষণা দেন এবং কলেজ পাঠাগারে বেশ কিছু বই অনুদান হিসেবে প্রদান করেন। কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট কানাই লাল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, শের-ই-বাংলা ফাউন্ডেশনের সভাপতি ফাইয়াজুল হক রাজু, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অধ্যক্ষ বিপুল বিহারী হালদার, ইউপি চেয়ারম্যান শেখর কুমার সিকদার, উপাধ্যক্ষ সঞ্জিব কুমার হালদার প্রমুখ। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান