যে কারাগারে শিশুরা প্রাপ্তবয়স্কের সাজা ভোগ করে
আরটিএনএন : অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কড়াকড়ি আরোপের দিক থেকে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে একটি অস্ট্রেলিয়া। প্রতিবছর দেশটিতে হাজারও অভিবাসীকে মানব-পাচারের অভিযোগে কারাবন্দী করা হয়।
অস্ট্রেলিয়ার সেইসব অভিবাসী কারাগারে গিয়ে দেখা যায় প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে শিশু-কিশোরদেরও আটকে রাখা হয়েছে বছরের পর বছর ধরে। আর এ বিষয়ে ওই শিশুদের স্বজনদেরও কিছু জানানো হয়নি। খবর বিবিসি।
মানবাধিকার কর্মীদের বিষয়টি চোখে পড়লে তারা আইনি লড়াইয়ে নামেন। আর তাতে বেরিয়ে আসে এমন কয়েকজনের দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা। তেমন একজনের মা সিটি রুডি। থাকেন ইন্দোনেশিয়ার রট দ্বীপের ওয়েলাবা গ্রামে। যার অবস্থান অস্ট্রেলিয়ার বেশ কাছাকাছি। তার ছেলে আবদুল একদিন কাজে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। সেটা ২০০৯ সালের কথা। নিখোঁজ হওয়ার কয়েকমাস পর্যন্ত সন্তানের কোন খবর না পেয়ে সিটি রুডি ভেবেছিলেন তার ছেলে হয়তো সমুদ্রে ডুবে মারা গেছে। তারপর একদিন হঠাৎ তার ফোন বেজে ওঠে।
‘অনেকদিন পর আবদুল আমাকে ফোন করে। জানায় যে সে অস্ট্রেলিয়ায় আছে। সেখানকার কারাগারে। ভীষণ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। দিন রাত শুধুই কেঁদেছি। কারণ ছোট ছেলে হিসেবে একমাত্র সেই আমার দেখাশোনা করতো’।
সে সময় ভাল বেতনের কারণে নৌকায় চাল আনা নেয়ার কাজ নিয়েছিলেন আবদুল। এই চাল কোথা থেকে আসে এবং কোথায় যায়, তার কিছুই জানতেন না। এভাবে এক পর্যায়ে অস্ট্রেলীয় কর্তৃপক্ষ তাকে সমুদ্র সীমার কাছ থেকে আটক করে এবং তাকে মানব-পাচারকারী হিসেবে চিহ্নিত করে। যারা কি না আশ্রয় প্রত্যাশীদের সমুদ্র পথে অবৈধভাবে অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে আসে। সে সময় আবদুলের বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর। অস্ট্রেলিয়া পুলিশ ওই বয়সেই তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। প্রাপ্ত বয়স্কদের আইন অনুযায়ি আদালত আবদুল দোষী সাব্যস্ত করে আড়াই বছরের কারাদ- দিয়েছিল। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ