‘ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিতে হবে’
মো. এনামুল হক এনা: খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সরকারি ব্যাংকে ব্যাপক ঋণ অনিয়মের পর এবার বেসরকারি ব্যাংকেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। আমাদের অর্থনীতির সাথে আলাপকালে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আবু আহমেদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বেসরকারি ব্যাংক পরিচালকরা নিজেদের ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে না পারায় অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছেন। জনগণের স্বার্থে চিহ্নিত ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। খেলাপি ঋণ আদায়ে করতে সরকারকে আরো অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংককে আরো স্বাধীনতা দিতে হবে। তাহলে ভবিষ্যতে খেলাপি ঋণের হাত থেকে মুক্ত পাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি।
তিনি আরো বলেন, যারা ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণ খেলাপি হচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করলে খেলাপি ঋণ কমবে না।
বিশিষ্ট এই অর্থনীতিবিদ আরো বলেন, ২০১৭ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত দেশের খেলাপি ঋণ ছিলো ১ লাখ ১১ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা। সে হিসেবে বিগত ১ বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২০ হাজার ৩১৯ কোটি টাকা। যা আসলে আমাদের অর্থনীতির জন্য মোটেও শুভ লক্ষণ নয়। তিনি বলেন, ব্যাংকিংখাতে সুশাসনের অভাব রয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণ খেলাপি হচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যত কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না সরকার।
ড. আবু আহমেদ আরো বলেন, যারা ব্যাংকের ম্যানেজমেন্টে আছেন তাদেরকে এ্যাকাউন্টেড করতে হবে। ম্যানেজিং ডিরেক্টর আছেন, বোর্ডের চেয়ারম্যান আছেন, এদের দক্ষতা দেখাতে হবে। খেলাপি ঋণ বিপদজনক, আমাদের অর্থখাতের জন্য যার প্রভাব পড়েছে ব্যাকিং খাতে।