দেবব্রত দত্ত : দেশে ডিম ওয়ালা মা মাছ ইলিশ রক্ষা জাটকা সংরক্ষণ,অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠানসহ ইলিশ রক্ষায় সরকারের গৃহিত ব্যাপক কার্যক্রমে কারণে গত পাঁচ বছরের ইলিশ উৎপাদন ১ দশমিক ৯৯ লাখ টন থেকে বর্তমানে ৪ লাখ টনে দাঁড়িয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, চলতি ২০১৮ সালে ইলিশের উৎপাদন সোয়া ৪ লাখ টন পৌঁছাবে। যার বাজার মূল্য প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা গতবছর দেশে ১২ হাজার কোটি টাকায় ইলিশ উৎপাদন হয়েছে। এছাড়া ইলিশ রপ্তানি করে ৩ শতাধিক কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে। ইলিশের উৎপাদনের আর ও বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার এখন ইলিশ রক্ষায় ১৫ মিলিয়ন ডলার ১৭ কোটির নতুন একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
গত নভেম্বর থেকে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ হয়েছে। এনহ্যাসিড ফিসারিজ ইন- বাংলাদেশ(ইকোফিস) নামের এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে বৈজ্ঞানিক গবেষণা । মাছের আবাদ ও প্রজননের স্থান রক্ষা, জাটকা ও মা মাছ ধরার ওপর নিষেজ্ঞা চলাকালে মৎসজীবী বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাঁচ বছর মেয়ার্দী এই প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে ইউএসআইডি ইকোফিস প্রকল্প বাস্তবায়নের পর ইলিশের উৎপাদন আর ও বেড়ে ৭ লাখ টন পৌঁছাবে। বস্তুত দেশে গত কয়েক বছর আগে ও আকাল ছিল তা এখন কেটে গেছে। এখন ফিরছে ইলিশের সুদিন। এখন ১২ মাসই বাজারে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয় এবং মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
ইলিশ সম্পদ রক্ষায় প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন,নদীতে ইলিশ বিচরন এলাকায় চার ধরনের কারেন্ট জাল ব্যবহার করে জাটকা শিকার করা হয়। নিধন করা হয় ডিমওয়ালা মা ইলিশ। ইলিশে উৎপ্দানের বৃদ্ধি করার জন্য মা ইলিশ সংরক্ষন জরুরী। সরকার প্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরন বন্ধ রাখতে বদ্ধপরিকর। সরকার জাটকা শিকারের বিরুদ্ধে আগের চেয়ে আর ও কঠোর হবে। যারা কারেন্ট জাল তৈরী করে ও ব্যাবহার করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। মন্ত্রী জানান, ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে প্রজনন মৌসুমে ৫টি ইলিশ অভয়াশ্রমের ইলিশ আহরণ, জলদুস্যতা নিয়ন্ত্রণ অবৈধ পথে ইলিশের পাচাররোধে কাজ করছে সরকার।