স্বপ্না চক্রবর্তী : বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গণশুনানির প্রেক্ষিতে চলতি সপ্তাহেই বাড়ছে গ্যাসের দাম। এই দাম বাড়াটা আবার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) আমদানির উপর নির্ভর করছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আগামী বছরের জুন পর্যন্ত কী পরিমাণ এলএনজি আমদানি হবে এর উপরই এর দাম বাড়ার সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে বলে জানিয়েছে বার্কও।
বার্ক সূত্রে জানা যায়, শুরুতে একহাজার মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহ ধরে গ্যাসের দাম নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বিতরণ কোম্পানিগুলো বলেছিল প্রতিদিন দেশীয় দুই হাজার ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুটের সঙ্গে একহাজার মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করা হলে গ্যাসের দাম ৭৫ ভাগ বাড়াতে হবে। এ বিষয়ে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, এলএনজির আমদানি বাড়লে গ্যাসের দাম তো বাড়বেই। তবে সরকারের উচিত হবে গ্রাহক পর্যায়ে এটিকে সহনশীল রাখা। এদিকে পেট্রোবাংলা থেকে কমিশনকে জানানো হয়, ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে এক্সিলারেট এনার্জি আর ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে সামিট এলএনজি সরবরাহ করবে। এতে করে একবছরের জন্য ৭৫ ভাগ গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা যুক্তিযুক্ত হবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, গত ১৮ আগস্ট থেকে প্রতিদিন মাত্র ৭৫ মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহের মধ্য দিয়ে এলএনজি বিতরণ শুরু করা হয়। পর্যায়ক্রমে তা বেড়ে দাঁড়ায় গড়ে ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুটে।
এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সদস্য আব্দুল আজিজ খান বলেন, এমনিতে আমাদের গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল না। শুধু এলএনজি আসায় গ্যাসের দাম বাড়াতে হচ্ছে। এজন্য এলএনজি কতটা এসেছে আর কতটা আসতে পারে, তা বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। আমরা এখন দেখছি পেট্রোবাংলা আমাদের যে তথ্য দিয়েছে তার বিপরীতে বাস্তবতা কী রয়েছে। আমরা আইন অনুযায়ী একবছরের বেশি সময়ের জন্য গ্যাসের দাম বাড়াতে পারি না।
এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন সূত্র বলছে, এলএনজির সরবরাহ কী পরিমাণ বাড়বে সে বিষয়টি এই সপ্তাহের মধ্যে নিশ্চিত হওয়ার পরই গ্যাসের বর্ধিত দাম ঘোষণা দেওয়া হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এই ঘোষণা আসতে পারে। এর আগে, গতবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সর্বশেষ গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। দুই ধাপে গড়ে ২২ দশমিক ৭৩ শতাংশ গ্যাসের দাম বাড়ায় বিইআরসি।