মুহাম্মদ নাঈম: মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসায় বাড়ানো জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে। বিটিআরসিসহ যারা সমন্বয়কারী কর্তৃপক্ষ তাদের ভূমিকা দেখলে মনে হয় তারা মোবাইল ফোন কোম্পানির প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করছে। কলরেট বৃদ্ধির ব্যাপারে আমাদের অর্থনীতির সাথে আলাপকালে অর্থনীতিবিদ ও জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সেই হিসাবে তাদের স্বার্থ দেখার জন্যই তারা এই সমস্ত উদ্যোগ গ্রহণ করছে। তাদের অনেক বকেয়া আগেও ছিলো এবং এখনো আছে। তদের যে সমস্ত ফি এবং কর দেয়ার কথা সেগুলো তারা অনেক সময়ই দেয় না। এরকম বকেয়াই আছে অনেক। উৎপাদন খরচ অনুযায়ী একেকটা দাম নির্ধারণ করতে হয়। যেখানে উৎপাদন খরচ কম সেখানে রেগুলেশনও কম। এই যে তারা টাওয়ারগুলো বসায়, তারা যে, পাইকারী দরে টাওয়ারগুলো বসায় এটিতে যে, পার্শ্বপতিক্রিয়া হয়, বিভিন্ন ধরনের পরিবেশগত ক্ষতি হয় এবং মানুষের স্বাস্থ্যগত যে চাপ পড়ে এগুলো নিয়েও তাদের কোন মাথাব্যাথা নেই।
তিনি আরও বলেন, এগুলো নিয়ে রেগুলেশন না থাকার ফলে এগুলো নিয়ে যে ধরনের ব্যবস্থা নেয়া দরকার বা খরচ করা দরকার বা যতœ করা দরকার এগুলোও তারা করে না। যার ফলে ব্যবসা বাড়ছে এবং সরকারের বিভিন্ন ইনকাম হচ্ছে।
গ্রাহক স্বার্থ বা ভোক্তা স্বার্থ যদি এই বিবেচনার মধ্যে থাকতো তাহলে রেগুলেশনটা বাড়তো, এবং টাওয়ার লাগানোর ব্যপারে আরো বেশি যতœশীল হতো। ফলে কলরেট বাড়ানোরও কোন উদ্যোগ দেখা যেত না। ভোক্তাদের সংঘঠিত না থাকার কারণে এ সমস্যাটা হচ্ছে।