৩০ হাজার কোটি টাকার সুতা ও কাপড় অবিক্রিত
মোহাম্মদ রুবেল : আমদানি শুল্ক ও কর ফাঁকি দিয়ে বিপুল পরিমাণ সুতা বাজারে প্রবেশ করায় দেশে তৈরি ৩০ হাজার কোটি টাকার সুতা ও কাপড় অবিক্রীত রয়েছে। ফলে স্থানীয় বাজারে জন্য সুতা ও কাপড় উৎপাদনকারী স্পিনিং ও উইডিং মিলগুলো সংকটের মধ্যে পড়েছে বলে জানিয়েছে বাাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, বাংলাদেশের স্পিনিং খাতে বর্তমানে ৪২৫টিরও বেশি মিল রয়েছে। এছাড়া উইভিং মিল রয়েছে ৮০০টি। মিলগুলো রফতানির উদ্দেশ্য সুতা ও কাপড় উৎপাদন ছাড়াও, দেশের বস্ত্র শিল্পে চাহিদা পূরণ করে আসছে।
বিটিএমএ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, উৎপাদন সক্ষমতার ৪০ শতাংশ ও কাপড় অবিক্রীত রয়েছে। গত জানুয়ারি থেকে পর্যায়ক্রমে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পলিয়েস্টার ও ভিসকস সুতা, বিভিন্ন প্রকারের মিশ্রিত সুতা ও ২৪ থেকে ৮০ কাউন্টের সুতা কতিপয় বন্ড লাইসেন্সধারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক আমদানি হচ্ছে। এরপর এগুলো স্থানীয় বাজার মধাবদী, বাবুরহাট, নরসিংদি, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবাধে বিক্রি হচ্ছে। ফলে স্থানীয় স্পিনিং মিলে তৈরি সুতা, অবৈধভাবে প্রবেশকৃত সুতার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না।