সুজিৎ নন্দী : পুরো বছর জুড়ে খোড়াখুড়ির জন্য চলাচলের জন্য অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে রাজধানীর রাস্তা। ধুলাবালি ও কাদার যন্ত্রণা তো আছেই। রাস্তা কাটাকাটির সঠিক সময় বছরের মার্চ থেকে জুন। ক্ষোভ প্রকাশ করেন মিরপুরের প্রবীণবাসিন্দার আব্দুর রাজ্জাক। পাল্টা প্রশ্ন করেন, এসব কাজের নিয়ম শীত ও বসন্তের মাঝামাঝি সময় উন্নয়ন কাজ করা। কিন্তু এরা মূলত গ্রীষ্ম থেকে বর্ষা পর্যন্ত রাস্তা খোড়াখুড়ি করে। মাঝেমাঝে দেখি বছরজুড়ে ঢাকার রাস্তা খোড়াখুড়ি করে। এরকম অভিযোগ রাজধানীর বেশিরভাগ মানুষের।
রাজধানীর মিরপুর, দারুস সালাম, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া ও কল্যানপুরসহ বেশ কিছু এলাকা সরেজমিনে দেখা গেছে, পানি-সুয়ারেজ, বিদ্যুৎ, গ্যাস, রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার, মোট্রোরেল, টেলিফোনসহ সব সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানই বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা খুড়ছে।
শুধু মেট্রোরেল এলাকায় রাতে কাজ করতে দেখা গেলেও বেশিরভাগ স্থানে ঠিকাদাররা সন্ধ্যার পর কাজ বন্ধ রাখেন। যদিও দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই কাজ করার কথা। এ নিয়ে কথা বলতে গেলে ‘আমরা করছি না’ বলে ঊর্ধ্বতনরা একে অপরকে দোষারোপ করেন। ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকন এ ব্যাপারে কোন কথা না বললেও ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা বলেন, আমার জানা মতে ঢাকা উত্তরের বড় ধরনের কোন খোড়াখুড়ি হচ্ছে না। আমরা কোন রাস্তা কেটে ফেলে রাখিনি। তবে মিরপুরে মোট্রোরেলের জন্য কিছু রাস্তা কাটা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকা উত্তর একটি নান্দনিক শহরে পরিণত হবে।
ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ. খান বলেন, এখন আমরা (ওয়াসা) কোন রাস্তা কাটছি না। আর এখন আমরা প্রায় ৭৫ ভাগ এলাকায় মাটি গর্ত করে বা রাস্তাখুঁড়ে পাইপ বসায় না। তবে ক্ষেত্র বিশেষে ২৫ ভাগ জায়গায় মাটি কেটে কাজ করা হয়। সর্বশেষ বড় খোড়াখুড়ির কাজ হয়েছিলো গুলশান ও বনানী এলাকায়।
ডিএনসিসি ও ডিএসসিসির একাধিক প্রকৌশলী বলেন, জুনের মধ্যেই সব সেবা সংস্থাকে তাদের চলমান কাজ অবশ্যই শেষ করতে বলা হয়েছে। কিন্তু কার্যত হচ্ছে না। বর্ষার সময় কাজ না করে মার্চ থেকে জুনের মধ্যে শেষ করার কথা। জানা গেছে, খোড়াখুড়ির দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে ঢাকা ওয়াসা। পানি সরবরাহের পাইপলাইন বসানো ছাড়াও ড্রেনেজ ও সুয়ারেজ লাইন বসানোর জন্য তাদের খুড়তে হয়।