
চার নদীর নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে একনেকে ১৩ হাজার ২শ কোটি টাকার ১৫ প্রকল্প অনুমোদন

সাইদ রিপন : জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১৫টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ২১৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে দেওয়া হবে ৮ হাজার ৪৭৯ কোটি ২২ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৪৪৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে আসবে ৪ হাজার ২৯০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
গতকাল রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব জিয়াউল ইসলাম, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম এবং আইএমইডি সচিব মফিজুল ইসলাম।
প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী বাহাদুরবাদের দক্ষিণে ব্রহ্মপুত্র থেকে উৎপন্ন হয়ে জামালপুর এবং ময়মনসিংহ জেলা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভৈরব বাজারে মেঘনা নদীতে পতিত হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে নদীটির ২২৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে ও ১০০ মিটার প্রস্থে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে তিন মিটার গভীর করে নৌপথটি ক্লাস-২ নেভিগেশনাল রুটে উন্নিত করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে চার হাজার ৩৭১ কোটি টাকা। এটি সেপ্টেম্বর ২০১৮ থেকে জুন ২০২৪ সালে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে, কক্সবাজার বিমান বন্দর উন্নয়ন প্রথম পর্যায় (তৃতীয় সংশোধিত), এটি বাস্তবায়নে খরচ হবে ২ হাজার ১৬ কোটি টাকা। হাটহাজারী-ফটিকছড়ি-মানিকছড়ি-মাটিরাঙ্গা-খাগড়াছড়ি সড়ক উন্নয়ন (চট্টগ্রাম অংশ), খরচ হবে ৩৯৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। ভূরুঙ্গামারি-সোনাহাট স্থলবন্দর-ভিতরবন্দ-নাগেশ্বরী মহাসড়কের দুধকুমার নদীর ওপর সোনাহাট সেতু নির্মাণ, খরচ হবে ২৩৩ কোটি টাকা। জার্মানির বার্লিনে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লক্স নির্মাণ, খরচ হবে ১০৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ও সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি ঘাটে গুঁড়ো দুধ কারখানা স্থাপনে খরচ করা হবে ১০৬ কোটি টাকা।
এছাড়া সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পে খরচ হবে ২৮০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। মেঘনা নদীর ভাঙন থেকে ভোলা জেলার সদর উপজেলাধীন রাজাপুর ও পূর্ব ইলিশা ইউনিয়ন রক্ষার্থে তীর সংরক্ষণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পে ব্যয় হবে ৩৪৪ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি ও হাটহাজারী উপজেলায় হালদা নদী ও ধুরং খালের তীর সংরক্ষণ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণে খরচ হবে ১৫৭ কোটি টাকা। রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন (আরওএসসি) দ্বিতীয় পর্যায় (দ্বিতীয় সংশোধিত), খরচ হবে ১ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। বিএফডিসি কমপ্লেক্স নির্মাণে খরচ হবে ৩২৩ কোটি টাকা। জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপনে খরচ ১৬৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন, গোপালগঞ্জ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের খরচ হবে ২৫১ কোটি টাকা। সৌরশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ক্ষুদ্র সেচের উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৮২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। টেকসই বন ও জীবিকা প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫০২ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
