আশিক রহমান : কোটা বিষয়ে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত আপাতত গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন শিক্ষাবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কোটা বাতিল প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হলেও তৃতীয় ও চতুর্থ বহাল থাকবে। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কোটা নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ভিন্নমত রয়েছে। তবে আমার মত হচ্ছেÑ কোটা অনেকটা সংস্কার করা হয়েছে। আর কোটা থাকলেও কোনো বছরই কোটা অনুযায়ী প্রার্থী পাওয়া যায় না। ফলে মেধার ভিত্তিতেই নিয়োগ দেওয়া হয়। কোটার হার নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোনো কোটা থাকবে না, সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন শিক্ষার্থীদের ঘরে ফিরে যাওয়া উচিত। একইসঙ্গে শ্রেণিকক্ষে মনোনিবেশ করা প্রয়োজন। ধীরে ধীরে সমস্যার সমাধান হবে। ধৈর্য ধরতে হবে। কোটা ব্যবস্থা নিয়ে এত যে সংকট ছিল তার অনেকটাই নিরসন হলো মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের মধ্যদিয়ে। সম্পূর্ণ নিরসন হওয়ার জন্য সময় লাগবে, তবে অনেকটা নিরসন হয়েছে এটা বলা যায়।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, কিছু কোটা হয়তো থাকা উচিত। তবে মেধাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরও মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের কোটা থাকতে পারে কিনা এবং যৌক্তিক কিনা বিবেচনার বিষয়। নাতি-পুতিদের কোটার কথা বলা ছিল? তবে জেলা কোটা থাকার প্রয়োজন নেই। কিন্তু নারী, প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য কোটা কম হারে হলেও রাখা উচিত। সম্পূর্ণ সংস্কারে সময় লাগবে। তবে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি হোক।