রফিক আহমেদ : তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, শুধু রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নয়, এই কেন্দ্রের কারণে প্রলুব্ধ হয়ে দেশের বনগ্রাসী ভূমিগ্রাসী কতিপয় গোষ্ঠী তিন শতাধিক বাণিজ্যিক প্রকল্প নিয়ে সুন্দরবন ঘিরে ফেলেছে। তিনি জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি, অনিয়ম ও প্রাণ প্রকৃতি বিনাশী প্রকল্প বন্ধের দাবি জানান। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় পুরানা পল্টনস্থ মুক্তিভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও সংগঠক রুহিন হোসেন প্রিন্স। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টিপু বিশ্বাস, বজলুর রশীদ ফিরোজ, নজরুল ইসলাম, বহ্নি শিখা জামালী, প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা, জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, শামসুজ্জোহা, নাসিরউদ্দিন নসু, মহিন উদ্দিন চৌধুরী লিটন ও শহীদুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ।
আনু মুহাম্মদ বলেন, গত কয়েক বছরে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, উন্মুক্ত কয়লা খনি, এলএনজি এবং এলপিজির লবিস্ট কোম্পানির স্বার্থে কাজ করে যাওয়া ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর দৌরাত্ম্য আরও ুেবড়েছে। মন্ত্রণালয় এখন তাদেরই দখলে। সুন্দরবন ধ্বংসকারী রামপাল কয়লাভিত্তিক প্রকল্প তাই এখনও বাতিল হয়নি, উপরন্তু কোনো প্রকার পরিবেশ সমীক্ষা না করে দেশের বিদ্যমান পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে উপকূল রক্ষাকারী বন বিনাশ করে মহেশখালী, বরগুনা ও পটুয়াখালীতেও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সুন্দরবনের ঘাড়ের ওপর বসানো হচ্ছে এলএনজি প্লান্ট। তিনি এসব দাবিতে অক্টোবর নভেম্বর মাসে জনসংযোগ, প্রচার ও বিভিন্ন অঞ্চলে সভা এবং আগামী ১০ নভেম্বর, নূর হোসেন দিবসে, বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে ‘সুন্দরবনের জন্য বৈশ্বিক সংহতি’ পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।