আমার দেশ • প্রথম পাতা • লিড ৫
১৮৩ দিন পর মুক্তবাতাসে নিঃশ্বাস নিলেন খালেদা জিয়া
শাহানুজ্জামান টিটু : ১৮৩ দিন পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্ত বাতাসে স্বস্তির নিঃশ^াস নিলেন। শারীরিক অসুস্থায় এই স্বস্তির নিঃশ^াস কতটা আনন্দদায়ক, কতটা স্বস্তির হয়েছে তা নিয়ে সংশয় থাকলেও নিঃসন্দেহে মুক্ত বাতাসে নিঃশ^াস গ্রহণ বড় ধরনের তৃপ্তি তাতে কোনো সন্দেহ নেই। গতকাল বিকাল ৩টা ১০ মিনিটে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নেয়ার জন্য বের করা হয়। কারগার থেকে গাড়িতে উঠার সময় পর্যন্ত কয়েক মিনিট মুক্ত বাতাসে অবগাহন কিছুক্ষণের জন্য হলেও মনস্ত¡াতিক আনন্দের একটা উপকরণও হতে পারে তার জন্যে। নাজিমুদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে দুপুরে খালেদা জিয়াকে বহনকারী ডিএমপির রমনা জোনের সাদা রংয়ের একটি পেট্রোল কার প্রবেশ করে। এসময় গোলাপি শাড়ি, চোখে ব্রাউন কালারে সানগ্লাস পরিহিতা খালেদা জিয়া গাড়িতে উঠেন। তার কারাকক্ষ থেকে থেকে তাকে হুইল চেয়ারে করে আনা হয়। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে বেলা পৌনে ৪টার দিকে হাসপাতালে পৌঁছান খালেদা জিয়া। এ সময় তার গাড়ির সামনে পেছনে ছিল পুলিশ, র্যাবের বেশ কয়েকটি গাড়ি। একটি অ্যাম্বুলেন্সও ছিল গাড়িবহরে।
এর আগে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য আনা হয়েছিলো কালো রংয়ের একটি পাজারো। যার নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ- ১৪-২১২৭। কিন্তু খালেদা জিয়া উঁচু গাড়িতে উঠতে পারবেন না বলে প্রাইভেটকারটি আনা হয়। আগে ঢাকা মেট্রো ১৪-১৫৮৬ নম্বরের র্যাবের একটি পিকআপ কারাগারের ভেতর থেকে বের হতে দেখা যায়। তাতে খালেদা জিয়ার ব্যবহৃত ম্যাট্রেস বিএসএমএমইউ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আর ২টা ২৫ মিনিটের দিকে কারাগারের সামনে আসে পুলিশের একটি অ্যাম্বুলেন্স। যার ইঞ্জিন নং ৬৩১১। এই অ্যাম্বুলেন্সে একজন চিকিৎসককে দেখা যায়। বিএসএমএমইউতে পৌঁছানোর পর গাড়ি থেকে নামেন তিনি । এরপর তাকে হুইল চেয়ারে করে নেওয়া হয় তার জন্যে আগেই প্রস্তুত রাখা ৬১১ নম্বর ক্যাবিনে। তার জন্য পাশের ৬১২ নম্বর কেবিনটিও বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ওই কক্ষে তার সহকারী বা কারা নিরাপত্তারক্ষীরা থাকতে পারবেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নেওয়া কেন্দ্রীয় কারাগার, পুরান ঢাকা, আলিয়া মাদ্রাসা চত্বরসহ আশপাশের এলাকায় কয়েকস্তরের নিরাপত্তা নেওয়া হয়।