বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শন ও আজকের বাংলাদেশ
অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন : বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শনের সারকথা ছিল মানুষের উন্নয়ন, কোনো গোষ্ঠী বিশেষের উন্নয়ন নয়। কিন্তু তার উন্নয়ন দর্শনের কোনো লিখিত দলিল নেই। তিনি সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন আর ভাষণ দিয়েছেন। কাজেই তার ভাষণ/বক্তব্য/বিবৃতির গভীরে অনুসন্ধান করতে হবে তার উন্নয়ন দর্শনের মূল সূত্র। এমন অনুসন্ধান তার কর্ম ও কৃতির মধ্যেও সম্প্রসারিত। অবশ্য তার ৩০৫৩ দিন কারাবাসের কারণে পেয়েছি ‘অসমাপ্ত আতœজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’। তবে কথায় বঙ্গবন্ধুকে যতটা চেনা যায় ততটা আর অন্য কিছুতে নয়। সম্ভবত এ কারণে প্রখ্যাত মার্কিন জীবনীকার বিল অ্যাডলার (ইরষষ অফষবৎ) বলেছিলেন, ‘ঘড়ঃযরহম ফবংপৎরনবং ধ ঢ়বৎংড়হ নবঃঃবৎ ঃযধহ যরং ড়িৎফং’ বঙ্গবন্ধুর সারাজীবনের ভাষণে আছে বাঙালির সংগ্রামী ইতিহাস আর স্বাধীন বাংলাদেশ নির্মাণের প্রাথমিক পর্বের কথাগুলো।
বক্ষ্যমান আলোচনার সূত্র নির্দেশ করে প্রধানত তিনটি ভাষণÑ ১০ জানুয়ারি ১৯৭২; ১৪ মার্চ ১৯৭২ এবং ২৬ মার্চ ১৯৭৫। লক্ষণীয়,৭১-এর ৭ মার্চ ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জনের দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। ১০ জানুয়ারি ’৭২-এর ভাষণে দিকনির্দেশনা ছিল অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশ নির্মাণের। ওই ভাষণে সর্বমোট ১৫টি দিকনির্দেশনা ছিল। অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন বলতে মানুষের অথনৈতিক মুক্তি ও এরপর পৃষ্ঠা ৪, সারি ১