ফয়সাল মেহেদী : দেশের রপ্তানি আয় ক্রমেই বাড়ছে। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ৯৯৪ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১২৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার বা ১৪.৭৫ শতাংশ বেশি। আর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৬.৫৪ শতাংশ।
গতকাল সোমবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত পণ্য রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে ৩১৪ কোটি ৫৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার আয় করে বাংলাদেশ। যা এর আগের অর্থবছরের একই মাসের তুলনায় ৫৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে ২০৩ কোটি ৪১ লাখ ৩০ হাজার ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। এদিকে চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৭৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার। তবে এর বিপরীতে আলোচ্য মাসে রপ্তানি আয় অর্জন হয়েছে ১৪.৪৭ শতাংশ বেশি। তথ্যানুযায়ী, রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রথম প্রান্তিকে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে ৪.৭৫ শতাংশ বেশি। এসময়ে ৭৮২ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয়েছে ৮১৯ কোটি ১৬ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে যে পরিমাণ ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে তা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ৭১৪ কোটি ৪১ লাখ ২০ হাজার ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছিল।
এদিকে রপ্তানি আয়ের দ্বিতীয় শীর্ষ খাত চামড়া-চামড়াজাত পণ্যে রপ্তানি আয় আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭.৪৬ শতাংশ কমেছে। আর লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় এ খাত থেকে আয় কমেছে ০.৩৬ শতাংশ।
তৃতীয় শীর্ষ খাত পাট ও পাটজাত পণ্য থেকে রপ্তানি আয় কমেছে ৮.১৫ শতাংশ এবং লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় কমেছে ১৬.৪৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় হিমায়িত এবং জীবন্ত মাছ রপ্তানিতে আয় কমেছে ১৮.১৭ শতাংশ। এর মধ্যে হিমায়িত চিংড়ির রপ্তানিতেই কমেছে ২৬.৩০ শতাংশ আয়।
অন্যদিকে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে ৯৭.৩১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে কৃষিপণ্য থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ২৯ কোটি ১৮ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। এর আগের বছরের একই সময়ে এ খাত থেকে আয় হয়েছিল ১৪ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। আলোচ্য সময়ে এই খাত থেকে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৭ কোটি মার্কিন ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে কৃষিপণ্য থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৭১.৫৭ শতাংশ বেশি।
উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। এর আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানিতে আয় হয় ৩ হাজার ৬৬৬ কোটি ৮১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার।