বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপায় বিপুল বরফে মিলতে পারে প্রাণের অস্তিত্ব
আসিফুজ্জামান পৃথিল : বৃহস্পতি গ্রহের উপগ্রহ ইউরোপার সাথে সৌরজগতের বাকি সকল উপগ্রহের ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। বৃহস্পতির এই চাঁদটির চতুর্দিকে রয়েছে নোনা পানির বিশাল এক সাগর। প্রথিবীর সকল মহাসাগরের সম্মিলিত পানির চাইতেও বেশি পানি রয়েছে এ সাগরে। তবে সম্প্রতি আবিস্কার হয়েছে নতুন এক তথ্য। এই সাগরের উপরিভাগের তাপমাত্রা মাইনাস ৩০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলশ্রুতিতে পুরো সাগরের উপরিভাগই বরফে জমাট বেঁধে রয়েছে। যা মিষ্টি পানির বিপুল উৎস হতে পারে।
তবে জ্যেতির্বিদরা দিয়েছেন আরো চমকপ্রদ তথ্য। ইউরোপার এই তরল জল খুলে দিতে পারে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার। কারণ এই পরিবেশ ‘ভীনগ্রহের’ আণুবিক্ষণিক প্রাণীর জন্য আদর্শ হতে পারে। ভীনগ্রহের প্রাণী বলতে আমাদের চোখের সামনে যা ভেসে ওঠে এই প্রাণীর গঠন তেমন না হলেও এই ক্ষুদ্রাকৃতির বস্তুকে নিস:ন্দেহে প্রাণী বলা যাবে। এ কারণে ভবিষ্যতে ভীনগ্রহের প্রাণীর অনুসন্ধানে ইউরোপা হতে যাচ্ছে অতি লোভণীয় এক স্থান। তাও আবার নিজেদের সৌরজগতের ভেতরেই।
আমাদের পৃথিবীতে পাওয়া বরফের প্রকৃতি আর ইউরোপার বরফের প্রকৃতির মধ্যে পার্থক্য এই ক্ষুদ্রাকৃতির জীবের সন্ধান সম্ভাবনাকে আরো বৃদ্ধি করেছে। ইউরোপার অতি শীতল আবহাওয়ার কারণে এখানে বরফ গলে পুনরায় জমাট বাঁধে না। তাই এখানকার বরফস্থর মসৃণ নয়। বরং তা ছোট ছোট কৃস্টালের সমস্টি। এ কারণেই এখানে অনুজীবের অস্তিত্বের সম্ভাবনা অধিক বলে মনে করেন কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীববিজ্ঞানী ড্যানিয়েল হবলি। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ক্রিস্টাল লেন্স সমতুল্য। এ কারণে এতে আলো প্রবেশ করে। এরমধ্যে অনুজীব থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।’ সায়েন্স অ্যালার্ট, সম্পাদনা : শরিফ উদ্দিন আহমেদ