ইমরুল শাহেদ : ভারতের খ্যাতিমান অভিনেতা নানা পাটেকার ও অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তকে দিয়ে বলিউডে শুরু হওয়া ‘মি টু’ আন্দোলনের ঢেউ এবার আছড়ে পড়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলেছেন ছয়জন নারী সাংবাদিক। এ নিয়ে তোপের মুখে আছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। গুঞ্জন উঠেছে, মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হতে পারে আকবরকে।
পক্ষান্তরে বিজেপির মধ্যপ্রদেশ নারী শাখার প্রধান লতা কেলকার ভুপালে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তিনি নারী সাংবাদিকদের নিষ্পাপ মনে করেন না।’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এম জে আকবর প্রাক্তন সাংবাদিক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগও এনেছেন মহিলা সাংবাদিকরা। কিন্তু আমার মনে হয় মহিলা সাংবাদিকরা নিষ্পাপ নয়। তাদের সঙ্গে কেউ কিছু করবে না কিংবা তাদের কেউ ব্যবহার করবে না এমনটা আমি মনে করিনা।’
বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতের দৈনিক আনন্দবাজার জানিয়েছে, এমজি আকবরকে সরিয়ে দিতে বিরোধীরা সরকারকে চাপ দিচ্ছে। তবে আফ্রিকা সফরে থাকা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না সরকার। বরং সফর শেষে দেশে ফিরলে মন্ত্রীর কাছে ওই নারীদের অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য চাওয়া হবে। সেক্ষেত্রে মন্ত্রীকে নিজে থেকেই সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এমজে আকবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠার পর সরকারের চার শীর্ষ মন্ত্রী- অরুণ জেটলি, রাজনাথ সিং, নিতিন গড়কড়ি এবং সুষমা স্বরাজ তাকে সরিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীকে চাপ দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সূত্র জানিয়েছে, আকবরকে বরখাস্ত করা হবে না। বরং সরকারের শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছে, তিনি নিজে থেকেই সরে গেলে সেটা ভালো হবে।
বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এম জি আকবরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে মুখ খুলেছেন। মন্ত্রীর নাম উল্লেখ না করে স্মৃতি বলেন, ‘যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তার নিজেরই বিবৃতি দেওয়া উচিত। আমি জানি তিনি একজন ভদ্রলোক।’
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও এ ব্যাপারে সোচ্চার। টুইট করে তিনি জানালেন, সময় এসেছে প্রত্যেক মানুষকে শিক্ষা দেওয়ার। কীভাবে মহিলাদের সম্মান করা হবে, সেই শিক্ষা আগে দেয়া হোক; তারপর তারা নিজেদের কর্মজগতকে আলোকিত করবেন।’ রাহুল আরও বলেন, ‘আমি খুব খুশি এই আন্দোলন হওয়ায়। সত্যটাকে উঁচু গলায় খুব স্পষ্টভাবে জানাতে হবে।’ ইয়ন, আনন্দবাজার। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব