বিডিনিউজ : ইসরায়েল অধিকৃত অবরুদ্ধ গাজায় শুক্রবারের সাপ্তাহিক বিক্ষোভে ৮ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পাশাপাশি আরও প্রায় ১৪০ জন আহত হয়েছেন বলেও জানান গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। বিক্ষোভকারীরা সেনাসদস্য ও সীমান্ত বেষ্টনি লক্ষ্য করে পাথর, বিস্ফোরক দ্রব্য, আগুন বোমা ও গ্রেনেড ছোড়ে, ভাষ্য ইসরায়েলের।
একদল বিক্ষোভকারী ইসরায়েল-গাজা সীমান্ত বেষ্টনিতে বোমার বিস্ফোরণ ঘটালে ২০ জনের মতো বিক্ষোভকারী বেষ্টনীর ছিদ্র হয়ে যাওয়া অংশ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে বলে টুইটারে জানান ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেনেন্ট কর্নেল জনাথন কর্নিকাস। বেষ্টনি গলে ভেতরে প্রবেশ করাদের মধ্যে জনা পাঁচেক বিক্ষোভকারী ইসরায়েলের ভেতরকার একটি সেনা চৌকিতে হামলা করলে নিরাপত্তারক্ষীরা পাল্টা গুলি চালায়; এতে হামলাকারীরা সবাই নিহত হন, দাবি কর্নিকাসের। ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এ বিক্ষোভে ফিলিস্তিনিরা ২০ লাখ বাসিন্দার শহর গাজার ওপর থেকে ইসরায়েলি ও মিশরের অবরোধ তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। ২০০৭ সাল থেকেই গাজা হামাসের নিয়ন্ত্রণে আছে, ইসরায়েল ও এর মিত্ররা এ সশস্ত্র সংগঠনটিকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবেই বিবেচনা করে। দশককালেরও বেশি সময় ধরে হামাসের উত্থানে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত মিশর ও ইসরায়েল গাজা সীমান্তে অবরোধ আরোপ করে রেখেছে, যা ফিলিস্তিনি শহরটির অর্থনীতি একেবারেই ধ্বসিয়ে দিয়েছে। সীমান্ত বরাবর বিক্ষোভের ডাক দিয়ে হামাসই সহিংসতা উসকে দিয়েছে বলে অভিযোগ তেল আবিবের। গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে গত এক দশকেই ইসরায়েলের সঙ্গে তিনবার যুদ্ধে জড়িয়েছে হামাস, শেষবারের সংঘাত হয়েছিল ২০১৪ সালে। বিক্ষোভের ডাক দিয়ে সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটি। সীমান্তের এ বিক্ষোভে ইসরায়েলি বাহিনীর মারণাস্ত্র ব্যবহারের কড়া সমালোচনা করেছে জাতিসংঘও।
সংকট নিরসনে কাতার, মিশর, জাতিসংঘসহ বেশ কয়েকটি পক্ষের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে হামাস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে শুক্রবার গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া তুরস্কের ইস্তাম্বুলে চলা এক সম্মেলনে গাজা থেকে দেওয়া ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন। শিগগিরই ‘অবরোধ ওঠার শর্তে শান্তি ফিরে আসবে’ বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ