মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধী কোটা এক শতাংশ রাখা যেতে পারে
তানজিনা তানিন : মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কিছুসংখ্যক কোটা বহাল রাখা উচিত বলে মনে করেন, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, শূন্য পদে ৯০ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার দাবিতে কোটা সংস্করের আন্দোলন করেছিল শিক্ষার্থীরা। কোটা বাতিল চায়নি কেউ।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নিবন্ধনকৃত মুক্তিযোদ্ধা তিন লাখের কম। তাদের পোষ্যের সংখ্যা ১৫-১৬ লাখ। যা মোট জনসংখ্যার এক শতাংশ। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানার্থে তাদের পোষ্যদের জন্য এক শতাংশ কোটা রাখা উচিত। আমাদের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা মোট জনসংখ্যার এক শতাংশের কিছু বেশি। তাদের জন্য আগে বরাদ্দ ছিল পাঁচ শতাংশ কোটা। উচ্চপদস্থ চাকরিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কিছু সংখ্যক কোটা বহালের প্রয়োজন রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, প্রতিবন্ধীদের জন্য তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে কোটা রাখলে যেহেতু কোনো সমস্যা হচ্ছে না, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে রাখলেও কোনো সমস্যা হবে বলে আমার মনে হয় না। তবে অবশ্যই কোটার হার মোট জনসংখ্যার হারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নির্ধারণ করতে হবে।