রাশিদ রিয়াজ : ৬৫ ফুট লম্বা জলদস্যুদের এ জাহাজটির সন্ধান মিলেছে প্রাচীন এক সমাধিক্ষেত্রের মাত্র ২০ ইঞ্চি মাটির নিচে। মাটির ভেতরে অনুসন্ধানের জন্যে বিশেষ ধরনের রাডার ব্যবহার করে জাহাজটির অবয়ব দেখে বিস্ময় বোধ করেন অনুসন্ধানকারীরা। নরওয়ের রাজধানী অসলো থেকে ৯০ মাইল দক্ষিণে এটির সন্ধান পাওয়া যায়। অসলো’র সাংস্কৃতিক ইতিহাস যাদুঘরের প্রতœতত্ত্ববিদ জ্যান বিল বলেন, ভাইকিংটি ঘিরে যে শত শত বছরের ইতিহাস জড়িত রয়েছে তার অনেক কিছুই আঁচ করতে পারা যাবে। মিলবে অনেক তথ্যেরও। আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি বেশ দর্শণীয়। সঙ্গতকারণেই এটি স্থান পেয়ে গেছে অসলো’র কাছে এক যাদুঘরে। স্টারইউকে
ধারণা করা হচ্ছে ১ লাখ বছর আগে থেকে জলদস্যুরা এ ধরনের জাহাজে করে জলদস্যুতা করে আসছিল। সম্ভবত কোনো রাজা বা রানির সমাধিক্ষেত্রে সেই সময়কালে এটিকে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল। ব্রিটিশ দ্বীপগুলোতে খ্রিস্টের জন্মের প্রায় আট’শ বছর আগে কম করে হলেও আড়াই’শ বছর ধরে জলদস্যুরা এধরনের জাহাজ নিয়ে সমুদ্রপথে ত্রাসের রাজত্ব করে আসছিল। এসব কাহিনী নিয়ে অনেক চলচ্চিত্র এখনো দর্শকদের মুগ্ধ করে তোলে। জলদস্যুরা তাদের রাজা কিংবা দলপ্রধানকে এভাবেই জাহাজের ভেতর কফিনে সমাহিত করত। এমনকি জাহাজ সমেত এধরনের সমাহিত করার ঘটনা ঘটে বিভিন্ন সামুদ্রিক উপকূলে। জার্মানির স্যাক্সনদের মধ্যেও এ রীতির চল ছিল।