ওমর শাহ : পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক ৩৫টি আসনের উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। নির্বাচনে তার দল তেহরিকে ইনসাফের ভূমিকা নিয়ে তিনি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। অপরদিকে উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, এ ফলাফল ভবিষ্যত কিভাবে আসছে এর একটি বার্তা মাত্র।
গত রোববার পাকিস্তানে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পাকিস্তানের উপ-নির্বাচনে নিজের ছেড়ে আসা দুটি আসনেই হেরে গেলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দুটি আসনে জিতেছে পদচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মুসলিম লীগ এবং মুত্তাহিদা মজলিস আমল।
দেশটিতে জাতীয় পরিষদের যে ১১টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছিল তাতে ১১টি আসনের মধ্যে ৪টিতে হেরেছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই)। ১১টি আসনের মধ্যে চারটি করে আসন পেয়েছে পিটিআই এবং পিএমএল-এন। আর পাকিস্তান মুসলিম লীগ কায়েদি দুইটি ও মুত্তাহিদা মজলিস আমল একটি করে আসন পেয়েছে।
ইমরানের লাহোর কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুসলিম লীগের শাহিদ খাকান আব্বাসি এবং বান্নুতে মুত্তাহিদা মজলিস আমল পার্টির জাহিদ আক্রাম দুরানি। এই ফলে জাতীয় সংসদের আসনের হেরফের না হলেও নওয়াজ শরীফের কাছে এই ফল উৎসাহব্যঞ্জক।
এদিকে প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে পিটিআই পেয়েছে ১১ টি আসন ও পিএমএল-এন পেয়েছে ৭ টি আসন। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির নেতৃত্ত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ও আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি পেয়েছে দুইটি করে আসন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী জিতেছে দুইটি আসনে।
দেশটির তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, পিটিআই তার জোট শরিক দল মুসলিম লীগ (কিউ) জাতীয় ও প্রাদেশিক এসেম্বলির ১৭টি আসনে জয়ী হয়েছে আর ১১টি আসনে জয়ী হয়েছে মুসলিম লীগ। তবে ইমরান খান ৭ আসনে পরাজয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
এদিকে নওয়াজ শরীফ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, উপনির্বাচনের ফলাফল সামনের সময় কিভাবে ঘনিয়ে আসছে এর একটি বার্তা মাত্র। নতুন সরকারের ৫০-৬০ দিনের মাথায় উপনির্বানে এমন ফলাফল পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম। আল্লাহর রহমতে সময় পরিবর্তন হয়ে যাবে।
২৫ জুলাই পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের পর এই উপনির্বাচন হয়েছে। এই প্রথম বিদেশে বসবাসকারী পাকিস্তানিরা অনলাইনে ভোট দিয়েছেন। সম্পাদনা : শরিফ উদ্দিন আহমেদ