বাংলাট্রিবিউন : বুধবার ভোরে নিরাপত্তা বাহিনী কথিত এক বন্দুকযুদ্ধে চারজন নিহত হওয়ার জেরে ভারত শাসিত কাশ্মিরের রাজধানী শ্রীনগরে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ভোরে ফাতেহ কাদাল এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিন বিদ্রোহী ও এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়। অবশ্য কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে এক বেসামরিক ব্যক্তি রয়েছেন। এই ঘটনার পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শ্রীনগরের স্কুল ও কলেজগুলো। শ্রীনগরের রাস্তায় মোতায়েন করা হয়েছে শত শত আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য। কাশ্মির উপত্যকা জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট। কাশ্মির পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিকে শ্রীনগরের ফাতেহ কাদাল এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালানো শুরু হয়। ওই অভিযানে বন্দুকযুদ্ধে পরিণত হয়। বন্দুকযুদ্ধে তিন সন্ত্রাসী নিহত ও এক পুলিশ কর্মকর্তা শহীদ হয়েছেন’। রাজ্যের পুলিশ প্রধান দিলবাহ সিং বলেছেন, এসব বিদ্রোহীরা সশস্ত্র গোষ্ঠী লস্কর-ই-তইয়্যেবার সদস্য। কাশ্মির পুলিশের এক শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা আল জাজিরাকে বলেছেন, বাড়ির মালিক আমাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে বলেছিলেন ভেতরে কোনও ‘সন্ত্রাসী’ নেই। তিনি বলেন, ‘পুলিশ ভেতরে ঢুকলে তীব্র গুলির মুখে পড়ে। আর পুলিশ সদস্য নিহত হয়। তারপর পুলিশের গুলিতে দুই সন্ত্রাসী নিহত হয়। আর নিহত তৃতীয়জন তাদের সঙ্গে থাকা বাড়ির মালিকের ছেলে। তার পরিবার বের হয়ে আসলেও সে বের হয়ে আসেনি । সেকারণেও সেও তাদের সদস্য’। পুলিশের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন ফাতেহ কাদেল এলাকার বাসিন্দারা। নিহত তৃতীয় ব্যক্তিকে তারা ৩০ বছর বয়সী বেসামরিক ব্যক্তি রইস আহমেদ বলে শনাক্ত করেন। তাদের অভিযোগ, রইসকে মানববর্ম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। রইসের ভাবী ৩৩ বছরের জান বলেন।
, ‘রাত বারোটার দিকে দরজায় টোকা পড়লে আমরা উঠে পড়ি। তারা ছিল পুলিশ। তারা আমার দেবরকে তুলে নিয়ে যায় আর তার ভাগ্যে কি ঘটেছে আমরা তা জানতে পারিনি। শুনেছি তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। তবে এখনও আমাদের তার মরদেহ দেওয়া হয়নি।’ সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ