ইমরুল শাহেদ : ভারতের সাংবাদিক-মন্ত্রী এমজে আকবর #মি টু ঘটনায় পদত্যাগের পর সোমবার অভিযোগকারিনী প্রিয়া রামানির বিরুদ্ধে ভারতীয় দ-বিধির ৪৯৯ ও ৫০০ ধারায় মানহানির মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আর্জিতে তিনি তার সুনাম কলংকিত করার কথাই বলেছেন। দিল্লির একটি আদালত সাংবাদিক প্রিয়া রামানির বিরুদ্ধে এমজে আকবরের করা মানহানির মামলাটি বৃহস্পতিবার আমলে নেন। রামানিই প্রথম নারী সাংবাদিক, যিনি এমজে আকবরের বিরুদ্ধেযৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন। আদালত বলেছে, ভারতীয় দ-বিধির ৫০০ ধারায় মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে। মামলার শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ অক্টোবর। আদালত অভিযোগ খতিয়ে দেখবে এবং শুনানির দিন সাক্ষীদের সাক্ষ্য রেকর্ড করা হবে। এমজে আকবর এই মামলা পরিচালনার জন্য ৯৭ জন আইনজীবীকে নিয়োগ দিয়েছেন।
এমজে আকবরের উর্ধ্বতন আইনজীবী গীতা লুথরা মহানগরীর প্রধান ম্যাজিস্ট্রেট সমর বিশালের কাছেও রামানির টুইটের বিষয়টি উল্লেখ করেন। লুথরা জোরের সঙ্গেই বলেছেন, রামানির টুইটে ১২০০ লাইক ও ২০০ রিটুইট হয়েছে। এর থেকেই স্পষ্ট যে, তারা সাবেক এই মন্ত্রীর সম্মান কতোটা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই ক্ষতি কখনোই পূরণ হওয়ার নয়। আকবরকে এসব অভিযোগের কারণে পদত্যাগ করতে হয়েছে।
আইনজীবী লুথার আদালতে উল্লেখ করেছেন, সাংবাদিক হিসেবে আকবরের খ্যাতি বিনষ্ট করা হয়েছে, যা তিনি ৪০ বছর ধরে অর্জন করেছেন। এই ক্ষতি কখনোই পূরণ হবে না। সুতরাং মামলাটি আমলে নেওয়া হোক। এই সময় আকবর আদালতে ছিলেন না। তিনি সমন জারির আগে জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য সশরীরে আদালতে উপস্থিত হবেন।
ইতোমধ্যে দি নিউ এজে কর্মরত ২০ জন নারী সাংবাদিক আদালতকে তাদের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছেন। তারা প্রিয়া রামানির পক্ষ নিয়েছেন। ভারতের এডিটর্স গিল্ডও ২০ নারী সাংবাদিকের পক্ষ অবলম্বন করেছে। মোদি সরকারে আকবরই হলেন প্রথম মন্ত্রী, যিনি অতীত কোনো ঘটনা জন্য পদত্যাগ করেছেন। হয়তো আর কাউকে এভাবে মন্ত্রীত্ব ত্যাগ করতে হবে না। পদত্যাগের কথা ঘোষণা করে এক বিবৃতিতে আকবর বলেছেন, ‘এই পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করাটাই আমি সমীচীন মনে করেছি এবং আমার সাধ্যমত চেষ্টা করব আমার উপর চাপিয়ে দেওয়া অভিযোগের মোকাবেলা করতে।’
উল্লেখ্য, এমজে আকবরের বিরুদ্ধে রামানিসহ ১৪ জন নারী সাংবাদিক যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, এনডিটিভি, কোয়ার্জ ইন্ডিয়া সম্পাদনা : রেজাউল আহসান